পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানায় এসেছে নতুন চার প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তি। চারটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মিলে কোম্পানিটির ১৩ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে।
ইতোমধ্যে এই তথ্য বিএসইসি,ডিএসই ও সিএসইকে জানিয়েছে।
কোম্পানি সূত্র মতে,চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে চারজন ব্যক্তি প্রতিনিধি হিসেবে কোম্পানিতে যুক্ত হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর কোম্পানিটির সর্বশেষ পর্ষদ সভায় মোট পাঁচ জন পরিচালক যুক্ত হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে,চারটি প্রতিষ্ঠানের ও প্রতিনিধিরা হলেন,এনআরবি ভেনচারের পক্ষে আফজাল রশিদ চৌধুরী,ফিউশন হোল্ডিংসের পক্ষে মো. সিরাজুল ইসলাম, বারাকা অ্যাপারেলসের পক্ষে ফাহিম আহমেদ চৌধরী, কর্ণফুলি হার্বার লিমিটেডের পক্ষে মনজুর কাদির চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন আব্দুর এস মাজিদ।
ডিএসই ও কেম্পানি সূত্র মতে,৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ছিলো ১৮ দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার। ২৫ অক্টোবর এটি হয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
নতুন চার প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তি মিলে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছে কোম্পানিটির।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পুনর্গঠিত হওয়ার পর পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে কমিশন। উদ্যোগ নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার।
বিএসইসির এই নির্দেশনার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইতোমধ্যে আইনটি পরিপালন করেছে বারাকা পাওয়ার লিমিটেড। কোম্পানিটিতে যুক্ত হয়েছে আরও পাঁচ জন পরিচালক। এর মাধ্যমে কোম্পানিটিতে সম্মিলিতভাবে পরিচালকদের কাছে থাকবে ৩১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
উল্লেখ,২০০৯-১০ সালে শেয়ার কারসাজির পর ভয়াবহ দরপতনের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ও সম্মিলিতভাবে নূন্যতম শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করেছিল।
উদ্দেশ্য ছিল, কোম্পানি পরিচালনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পর্ষদ গঠন করা।