পুঁজিবাজারে আসার আগে কপার ব্যবসায় কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের একচেটিয়া ব্যবসায় বলে দাবি করা হয়েছিল। চাহিদার বিপরীতে তারা পণ্য দিয়ে পারছিল না বলেও তাদের দাবি।
তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রথম বছরেই বিক্রয় মন্দায় কোম্পানিটির মুনাফা ও লভ্যাংশে ধস নেমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকেই ব্যবসায় মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে কপারেটক ইন্ডাস্ট্রিজ। এরমধ্যে শেষ প্রান্তিকে করোনা মহামারি হানা দিয়েছে। যাতে করে কোম্পানিটির আগের বছরের ১.১১ টাকার শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ০.৩৫ টাকায় নেমে এসেছে।
একইসঙ্গে আগের বছরের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ নেমে এসেছে ২.৫০ শতাংশে। এই লভ্যাংশ আবার শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট লেনদেন শুরু হওয়া কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ২০১৯-২০ অর্থবছর ছিল তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে প্রথম বছরের ব্যবসা। আর এই বছরেই মন্দার কবলে পড়েছে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ০.১৩ টাকা। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ০.১৮ টাকা ও তৃতীয় প্রান্তিকে ০.২১ টাকা হয়েছিল। এতে করে ৯ মাসে ইপিএস হয়েছিল ০.৪৯ টাকা।
তবে শেষ প্রান্তিকে করোনায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৪ টাকা। যাতে করে ২০১৯-২০ এর পুরো অর্থবছরে ইপিএস হয়েছে ০.৩৫ টাকা।
ব্যবসায় এই পতনের কারন হিসেবে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কপারের বাজার ছিল মন্দা।
এরমধ্যে আবার করোনা মহামারি হানা দিয়েছে। এতে করে বিক্রয় কম হয়েছে। কিন্তু ব্যয় বেড়েছে। যাতে করে ইপিএস কমে এসেছে।
৬৩ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর রয়েছে ২১.২০ টাকায়।