1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ওটিসি মার্কেটের ২৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসইসি
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম

ওটিসি মার্কেটের ২৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসইসি

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০
OTC-Market

পুঁজিবাজারের ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে বার্ষিক ও আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল না করা, করপোরেট গভর্নেন্স কোড পরিপালন না করা এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
 
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওটিসি মার্কেটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৬৪টি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ৪৯টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি কোম্পানি বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন, বিভিন্ন প্রন্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না।

এছাড়া কোম্পানিগুলো বার্ষিক সাধারণ সভাও আয়োজন করছে না। এর ফলে কোম্পানিগুলোর করপোরেট পারফরমেন্স, আর্থিক সক্ষমতা ও করপোরেট গভর্নেন্স প্রাকটিস ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছে বিএসইসি।
 
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওটিসি মার্কেটে যেসব কোম্পানি রয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই অস্তিত্ব নেই। ফলে ওইসব কোম্পানির শেয়ারে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ আটকে পড়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই ওটিসির কোম্পানিগুলোকে আরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।
 
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আইন লঙ্ঘন করা ওটিসির ২৩টি কোম্পানির মধ্যে সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মেটালেক্স করপোরেশন। এছাড়া ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি মিটার; ২০০৪ সালে রাসপিট ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, রোজ হেভেন বলপেন ও পারফিউম কেমিক্যালস; ২০০৭ সালে ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল; ২০০৯ সালে এক্সেলসিওর সুজ, জার্মান বাংলা জে ভি ফুড ও আমান সি ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ; ২০১০ সালে পেট্রো সিন্থেটিকস, জাগো করপোরেশন ও ড্যান্ডি ডায়িং; ২০১১ সালে কাশেম টেক্সটাইল, কাশেম সিল্ক ও বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্টস; ২০১৩ সালে বাংলা ফাইন সিরামিকস ও মেঘনা শ্রিম্প কালচার; ২০১৪ সালে বাংলা প্রসেস ও আশরাফ টেক্সটাইল এবং ২০১৫ সালে মিতা টেক্সটাইল, গাল্ফ ফুডস, ঢাকা ফিশারিজ ও বাংলাদেশ প্লান্টেশন বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

তাছাড়া কোম্পানিগুলো বিভিন্ন বছরের প্রান্তিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেনি। ফলে কোম্পানিগুলো করপোরেট গভর্নেন্স কোডসহ সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে।
 
এদিকে গত ৭ অক্টোবর বিএসইসির ৭৪৩তম সভায় সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের কারণে ২৩ কোম্পানির মধ্যে কাশেম সিল্ক এবং কাশেম টেক্সটাইলের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ছাড়া) ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করে কমিশন।
 
এর মধ্যে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন; ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন; ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ এবং ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩০ জুন তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কাশেম সিল্ক।
 
একইভাবে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন; ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন; ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ ও ১০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৯ সালের ৩০ জুন তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কাশেম টেক্সটাইল।
 
ফলে কোম্পান দু’টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২সিসি ভঙ্গ করেছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় কোম্পানি দু’টির পরিচালকদের জরিমানা করেছে বিএসইসি।
 
এ বিষয়ে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কাশেম সিল্ক ও কাশেম টেক্সটাইল দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন আইন লঙ্ঘন করে আসছে। ফলে বিএসইসি সার্বিক দিক বিবেচনায় কোম্পানি দু’টির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
 
আইন লঙ্ঘন করা ওটিসির অন্যান্য কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএসইসি সময় অনুযায়ী সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
 
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ জানান, ওটিসি মার্কেট পুনর্গঠন করা খুব জরুরি। তাদের আরও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। ওটিসি থেকে যেসব কোম্পানিকে বাদ দেওয়া হবে, তাদের আগে অবসায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করতে পারলে বিনিয়োগকারীদের কিছুটাও হলেও লোকসান কমবে।

এদিকে ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ওটিসি মার্কেট গঠিত হয়। বর্তমানে ডিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৬৪ কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। তবে এ মার্কেটে লেনদেনে খুব একটা উৎসাহী নয় বিনিয়োগকারীরা।

মূলত ওটিসি মার্কেটের উন্নয়ন ও গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়াকে দুষছেন বিশ্লেষকরা। সেজন্য গেল দশ বছরে (২০০৯ থেকে ২০১৯) মাত্র ১৬০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। 

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ