দেশের পুঁজিবাজারে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরেই সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস, মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) কোম্পানির পর্ষদ সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৬১ টাকা। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০৭.৮৮ টাকায়।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
এদিকে ব্যবসায়িক সাফল্য ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে সম্প্রতি অনাপত্তি পত্র পাওয়ার পর রোববার থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হয় ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানি সোনালী পেপারের।
বিএসইসির দেয়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠিতে বলা হয়, যে কোন দিন থেকে সোনালী পেপারের লেনদেন মূল মার্কেটে চালু করতে পারবে। তবে কোম্পানিটির পরিচালকদের সব শেয়ার এক বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। লেনদেনের প্রথম দিন থেকে এই সময় ধরা হবে।
কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার বা প্রাইস লিমিট লেনদেনের প্রথম কার্যদিবস থেকেই কার্যকর হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৭৩ টাকা থেকে শুরু হয়।
ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হয় ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে এবং পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পর্যন্ত ‘জেড’ ক্যাটেগরিতেই কোম্পানিটির লেনদেন হওয়ার শর্ত ছিল।
এর আগে বিএসইসির সম্মতির পর ৪ জুন ডিএসইর পর্ষদ সভায় মূল বাজারে পুনঃ তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়ে কোম্পানিটির লেনদেনের তারিখ ধার্য করতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোনালী পেপারের লেনদেনের তারিখ নির্ধারণ করল ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
তালিকাচ্যুত হওয়ার ১০ বছরের বেশি সময় পর মূল বাজারের লেনদেন ব্যবস্থায় ফিরতে যাচ্ছে ওটিসির কোম্পানি সোনালি পেপার। ওটিসিতে যাওয়ার প্রায় ১১ বছর পর সম্প্রতি আবার মূল মার্কেটে ফিরছে সোনালী পেপার। এর আগে ওয়াটা কেমিক্যাল ও আলিফ টেক্সটাইল ওটিসি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে পুনঃ তালিকাভুক্ত হয়েছে।
সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ইউনুস গ্রুপ ২০০৬ সালে কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করে।
সোনালী পেপার প্রিন্টিং পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজ উৎপাদন করে। এর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার টন। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ।