1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজার ভালো কোম্পানি আসতে আমলারা বাধা দিচ্ছে
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ এএম

পুঁজিবাজার ভালো কোম্পানি আসতে আমলারা বাধা দিচ্ছে

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯

বাজারে ভালো কোম্পানি কেন আসছে না? কারণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। বাজারে ভালো কোম্পানি এলে কোম্পানির স্বচ্ছতা বেড়ে যাবে। ফলে অনেক আমলা দামি গাড়িসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। সময় এসেছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। যেসব আমলারা পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আসতে বাধা দিচ্ছেন তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। বৃহস্পতিবার এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। আহমেদ রশীদ লালীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হাসান মাহমুদ বিপ্লব এবং দ্য ডেইলি স্টারের বিজনেস এডিটর মো. সাজ্জাদুর রহমান।

হাসান মাহমুদ বিপ্লব বলেন, ব্যাংক খাতে অনেক খেলাপি ঋণ রয়েছে। এটি কোনো সমস্যা না। যখন সংবাদপত্রগুলোতে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তখন বলা হয় ওইসব ঋণখেলাপিদের সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যায়, মূল অপরাধীদের শাস্তির বাইরে রাখা হয়। বাজারে ভালো কোম্পানি কেন আসছে না। কারণ এখানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। তারা মনে করেন বাজারে ভালো কোম্পানি এলে কোম্পানির স্বচ্ছতা বেড়ে যাবে। ফলে তারা দামি গাড়িসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। যেসব আমলারা বাজারে ভালো কোম্পানি আসতে বাধা দিচ্ছেন তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত ১০ বছরে পুঁজিবাজার কয়েকবার সূচক ছয় হাজার অতিক্রম করেছে। যখনই বাজার একটি ভালো অবস্থানে যায়, তখনই দেখা যায় অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এমন একটি সিদ্ধান্ত আসে; যার ফলে বাজার আবারও সেই পেছনের দিকে ফিরে যায়। পুঁজিবাজারের সঙ্গে অনেকগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা জড়িত। আসলে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অনেক ঘাটতি রয়েছে। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেটকে অবজ্ঞা করার একটি ব্যাপার রয়েছে। একদিকে জিডিপি গ্রোথ, অন্যদিকে অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু পুঁজিবাজারের সেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে না। বাজার ধীরে ধীরে আরও তলানিতে যাচ্ছে। বিশ্বের কোনো পুঁজিবাজার যদি নিম্নগতির দিকে থাকে সে পুঁজিবাজার এক থেকে দুই বছরের মধ্যে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কিন্তু ২০১০ সালে আমাদের পুঁজিবাজার ধসের পর এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরতে পারছে না। যদি একটি পুঁজিবাজার দীর্ঘ সময় ধরে এ রকম খারাপ অবস্থানে থাকে, তখন বাজারের নেতিবাচক বিষয়গুলো বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয়। আর এটা হওয়াই স্বাভাবিক। মানি ও ক্যাপিটাল মার্কেট একে ওপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যখন ব্যাংকের সুদের হার কম থাকে তখন পুঁজিবাজার ভালো করে। আবার যখন ব্যাংকের সুদের হার বেশি হয় তখন সেটার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ে। ইতোমধ্যে সরকার বাজারসংক্রান্ত অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তারপরও আসল কথা হচ্ছে-ভালো মানের কোম্পানি আনা দরকার। কিন্তু সেটির কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের সঙ্গে একটি দ্বন্দ্ব চলছে। বিটিআরসি তিন বছর ধরে গ্রামীণ ও রবির নতুন কোনো প্যাকেজ চালু করতে দিচ্ছে না। গত তিন বছরে এ দুই কোম্পানি প্রায় কয়েকশ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে পারত। কিন্তু সেটি তারা পারেনি। আসলে এর ফলে কে লাভবান হচ্ছে। গ্রামীণফোন বাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে বাজারের অনেক গভীরতা বেড়েছে। অনেক নতুন নতুন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছে। এখন এ ধরনের একটি কোম্পানির সঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। আবার এ রকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিটিআরসি বিএসইসির সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। এখন গ্রামীণফোনের শেয়ারদর ৫০০ থেকে ৩০০ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে সাধারণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরদের মধ্যে বড় একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ