1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
বিদেশীরা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগে গভীরভাবে আগ্রহী প্রয়োজন টেকনোলজিকে উন্নত করা
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

বিদেশীরা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগে গভীরভাবে আগ্রহী প্রয়োজন টেকনোলজিকে উন্নত করা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০
Screenshot_2

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, টেকনোলজিকে আরও উন্নত করতে পারলে পুঁজিবাজারকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাহিরে নিয়ে যাওয়া যাবে।

তাছাড়া বিদেশীরা আমাদের দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগে গভীরভাবে আগ্রহী। কারন তারা তাদের দেশে ১ শতাংশও রিটার্ন পায় না। আমরা তাদের সুযোগ করে দিতে পারলে বিনিয়োগ আসবে। এ নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএর সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।

শেখ সামসুদ্দিন বলেন, পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়াতে সবপক্ষ থেকেই কাজ করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এই মার্কেটটা অত্যান্ত বেগবান এবং গভীর হবে। যাতে করে দেশের কল্যাণ হবে। একসময় ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হলেই অনেক মনে করা হতো। তবে এখন সেই লেনদেনের পরিমাণ চলে এসেছে হাজার কোটিতে। এটা সম্ভব হয়েছে টেকনোলজির উন্নতির কারনে।

এছাড়া ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৫ শতাংশের ওয়েবসাইট নাই বা কাজ করে না। এছাড়া ওয়েবসাইট থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭ শতাংশের সর্বশেষ আর্থিক হিসাব নেই। অথচ এগুলো থাকা বাধ্যতামূলক। কারন একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য ওই কোম্পানির ওয়েবসাইটসহ অন্যান্য তথ্য থাকা উচিত।

তিনি বলেন, ৩২টি কোম্পানির ৬২ জন পরিচালক মারা গেছেন। কিন্তু ওই কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে তার আপডেট নেই। এসবের কারনে বিনিয়োগকারীরাও সঠিক তথ্য পাচ্ছে না।

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আইপিও আসে উল্লেখ করে বিএসইসির কমিশনার বলেন, বিনিয়োগকারীরা তাদের উপর আস্থা রেখে বিনিয়োগ করে থাকে। সেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের বিডিং প্রাইস যদি ১২ টাকা থেকে ৭৬৫ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে এসব বিষয়গুলো বিএমবিএর দৃষ্টিগোচর হওয়া উচিত।

বাজারে বিনিয়োগ করতে আসা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি যেনো কম হয়, সেজন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে বলে জানান শেখ সামসুদ্দিন। তারা যদি ঝুকিঁ নিতে না চায়, তাহলে বাজারে বিনিয়োগ আসবে না। অবশ্যই এই বাজারে ঝুঁকি আছে। এই ঝুঁকি নিয়েই আমাদেরকে এগোতে হবে।

তিনি বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর পোর্টফোলিওতে যে তথ্য উপাত্ত আছে, তা সঠিক বলে মনে হয় না। একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজারের বাহিরে অন্যত্র বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু সেই অন্যত্র বিনিয়োগের ক্ষেত্রটি কোথায় বা কি, তা বিনিয়োগকারীর জানার প্রয়োজন আছে। সে জানতে পারলে হয়তো ওই মিউচ্যুয়াল ফান্ড অপছন্দ করতে পারে। যাতে করে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে পারবে।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, আমরা তথ্য বিতরনটা সঠিকভাবে করছি না। এতে করে বিনিয়োগ ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে যৌক্তিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারলে, তা কমে যায়।

বিএসইসি স্টক ব্রোকার এবং ডিজিটাল বুথের জন্য নীতিমালা তৈরী করছে বলে জানিয়েছেন শেখ সামসুদ্দিন। এর মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী যেকোন জায়গা থেকে ঝুঁকি নিরসনের জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, করোনা হওয়ার পরে বিএসইসি টেকনোলজি নির্ভর অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। যেগুলো প্রমাণ করে ডিজিটালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ খুব উপকারী। যেমন বিভিন্ন রিপোর্টস অনলাইনে জমা করার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া এজিএম, ইজিএম অনলাইনে করার অনুমতি দিয়েছি। এতে করে ব্যয় ও সময় লাঘব হবে।

টেকনোলজি জীবনকে সহজ করে দেয় বলে জানান তিনি। তবে অনেকেই টেকনোলজি করা কঠিন কাজ মনে করে। এটা কিন্তু একেবারেই তা নয়। যেমন মোবাইল ফোন দেশে আসার সময় অনেকেই ভেবেছিল কম শিক্ষিত মানুষজন এটা ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

সেই প্রেক্ষাপট থেকে আমরা যদি মার্কেটটাকে ডিজিটালাইজড করতে পারি, সেটা অবশ্যই সবাই গ্রহন করবে। এর মাধ্যমে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। এছাড়া ব্যয় কমে আসবে। আর মার্কেটটাও সব জায়গায় পৌছে যাবে।

অতএব টেকনোলজিকে ব্যবহার করে কেউ লাভবান হবে না, তা মনে হয় কেউ বিশ্বাস করবে না।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন আকন্দ ও ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন অংশগ্রহন করেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর সদস্য মীর মাহফুজ উর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএমবিএর সাধারন সম্পাদক মো. রিয়াদ মতিন।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ