দেশের পুঁজিবাজারে আগের সপ্তাহ পতন হলেও সর্বশেষ সপ্তাহ (২৭ সেপ্টেম্বর-০১ অক্টোবর) উত্থানে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। এর মাধ্যমে ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ লাখ কোটি টাকার মাইলফলকে পৌঁছেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে , চলতি সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজার মিলে ১৮ হাজার ৫২৫ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা পুঁজিবাজারে ফিরে এসেছে। আর আগের সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ফিরেছিল ১৭ হাজার ২১৪ কোটি ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে ১ হাজার ৩১০ কেটি ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বা ৭.৬১ শতাংশ বেশি বাজার মূলধন ফিরেছে।
এদিকে ডিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫১ কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৯৫ কোটি ৫২ লাখ ৮৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ফিরেছে ৮ হাজার ৭৪৩ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বা ২.২১ শতাংশ।
আর সিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬২৯ কোটি ১৭ লাখ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিব লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪১০ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে বাজার মূলধন ফিরেছে ৯ হাজার ৭৮১ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা বা ৩.০১ শতাংশ।
বিগত সপ্তাহজুড়ে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৫৫৪ কোটি ৭৮ লাখ ৮১ হাজার ৪২৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৮ কোটি ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬৮ টাকা বা ০.৪১ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৭৩ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৩ টাকার।
ডিএসইতে বিগত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৯১০ কোটি ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৫ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৯১৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৩ টাকা কম হয়েছে।
তাছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৫৪ পয়েন্ট বা ০.৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৯৫.৩২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৩১ পয়েন্ট বা ০.০৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৫২ পয়েন্ট বা ০.৫৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২৬.৬২ পয়েন্টে এবং ১৭১০.৭২ পয়েন্টে।
এছাড়া ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির বা ৪১.২২ শতাংশের, কমেছে ১৯২টির বা ৫৩.৪৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির বা ৫.২৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২১৭ কোটি ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮৫ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা বা ৬৪.৫২ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৭.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৭.৫১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৫১.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৬০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৫.৭৩ পয়েন্ট বা ০.৫৬ শতাংশ এবং সিএসআই ৪.২৪ পয়েন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৫৭৫.৪৮ পয়েন্টে, ১০২৮.৮৭ পয়েন্টে এবং ৯২৩.৮৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচক ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৩৭ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৭০.৫৯ পয়েন্টে।
তাছাড়া সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩৩টির বা ৪১.৯৫ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৫২টির বা ৪৭.৯৪ শতাংশের কমেছে এবং ৩২টির বা ১০.০৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।