1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
একশ কোটির মীর আখতার পাহাড়সম ঋণে আটকে আছে
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৮ পিএম

একশ কোটির মীর আখতার পাহাড়সম ঋণে আটকে আছে

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
MAH

পুঁজিবাজার থেকে ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে টাকা সংগ্রহ করতে আসছে মীর আখতার হোসেন।  অথচ কোম্পানিটি নিয়মিত ঋণ নিতে নিতে পাহাড়সম করে ফেলেছে।

যা কাল হয়ে দাড়িঁয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায়। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির আইপিওর ৪০ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এরমধ্যে ৪০ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে চায়।

পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে চাইলেও সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৫৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ঋণ নিয়েছে।

এ কোম্পানিটির ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে ৯১১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার ঋণ ছিল। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে বেড়ে দাড়াঁয় ১২৭১ কোটি ৫ লাখ টাকায়। এর আগের অর্থবছরে ১৮৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ঋণ নেয়।

এদিকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব অনুযায়ি, মীর আখতারের ঋণের পরিমাণ আরও বেড়ে দাড়িঁয়েছে ১৫৭৫ কোটি ৫২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৯ মাসে আরও ৩০৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩১ মার্চে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাড়িঁয়েছে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এছাড়া স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাড়িঁয়েছে ৪০০ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। অর্থাৎ মোট ব্যাংক ঋণ দাড়িঁয়েছে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি ৫২ লাখ টাকায়। যা পরিশোধিত মূলধনের ১৫.৭৬ গুণ এবং ইক্যুইটি বা নিট সম্পদের ৪.১১ গুণ।

এমন ঋণের পাহাড়ে অনেক কোম্পানিকেই দেউলিয়া হওয়ার মতো ঘটনা দেশে আছে। এমনকি সম্প্রতি ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিডের কারখান নিলামে তোলার বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

মীর আখতারের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সুদজনিত ব্যয় হয়েছে ১২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৬৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে করোনাভাইরাসে কোম্পানির কনস্ট্রাকশনে বড় প্রভাব পড়লেও সুদের চাকা থেমে ছিল না।

মীর আখতার কনস্ট্রাকশনের কাজ করে। এরমধ্যে ভবন, রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কারনে কয়েক মাস প্রায় পুরো কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু সুদের চাকা থেমে ছিল না। যাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুনাফায় বড় ধাক্কা খাওয়াটা স্বাভাবিক হবে।

দেখা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একইসময়ের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ ২০) মুনাফা ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ২৫ শতাংশ কমেছে।

তবে দেশে মূলত করোনাভাইরাসের কারনে গত ২৫ মার্চ থেকে স্থবির হয়ে পড়ে। সে হিসাবে ১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসার শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) মীর আক্তার ব্যবসায় বড় ধাক্কা খাওয়া স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) পরিমল কুমার সরকারের সঙ্গে কয়েকদিন যোগাযোগ করলেও তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে মন্তব্য করেননি।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ