পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতে কোম্পানির সংখ্যা ৩৯টি। এর মধ্যে ১১টি কোম্পানি গতবছর বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড ছিল ১৫ শতাংশের উপরি। এবছর ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বাড়ছে, বাড়ছে শেয়ার দরও। এদিকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার পর্যালোচনায় এমন চিত্রই দেখা যায়।
প্রকৌশল খাতে শীর্ষ ডিভিডেন্ডের ১১টি কোম্পানি হলো-বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, রংপুর ফাইন্ড্রি, ন্যাশনাল পলিমার, রানার অটো, বিবিএস কেবলস, কেডিএস এ্যাক্সেসরিজ, নাহি এ্যালুমিনিয়াম, এসএস স্টিল, মুন্নু স্ট্যাফলার্স এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড।
সাম্প্রতিককালের ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে কোন কোন কোম্পানির শেয়ার প্রায়ই লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসছে। আবার কোন কোন কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন কোম্পানির শেয়ার সংগ্রহ করার জন্য বড় বিনিয়োগকারীরা চাঙ্গা বাজারেও কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর দাবিয়ে রাখছে।
তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর মধ্যে গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে বিএসআরএম লিমিটেড ডিভিডেন্ড দিয়েছে ২৫ শতাংশ ক্যাশ, বিএসআরএম স্টিল ২৫ শতাংশ ক্যাশ, বিবিএস কেবলস ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৫ শতাংশ স্টক, রংপুর ফাউন্ট্রি ২৩ শতাংশ ক্যাশ, ন্যাশনাল পলিমার ২২ শতাংশ স্টক, মুন্নু স্ট্যাফলার্স ২০ শতাংশ স্টক, রানার অটোমোবাইল ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক, কেডিএস এ্যাক্সেসরিজ ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক, নাহি এ্যালুমিনিয়াম ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক, এসএস স্টিল ১৫ শতাংশ স্টক এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ১৫ শতাংশ স্টক।
সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিবিএস কেবলসের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬.৫৩ টাকা, বিএসআরএম লিমিটেডের ৩.১৪ টাকা, মুন্নু স্ট্যাফলার্সের ৩.৭৬ টাকা, ন্যাশনাল পলিমারের ৩.৬৭ টাকা, রংপুর ফাউন্ড্রির ২.৭৯ টাকা, রানার অটোমোবাইলের ২.৭৪ টাকা, নাহি এ্যালুমিনিয়ামের ২.৩৪ টাকা, বিএসআরএম স্টিলের ১.৯১ টাকা, কেডিএস এক্সেসরিজের ১.৯০ টাকা, এসএস স্টিলের ১.৫১ টাকা এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ১.০৮ টাকা।
সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিগুলোর শেয়ারপ্রতি আয় দেখে প্রতীয়মান হয়, ১১টিকোম্পানির মধ্যে দু’একটি ছাড়া বাকি সবগুলো কোম্পানিই আগের বছরের সমপরিমান বা তারচেয়ে বেশি ডিভিডেন্ড দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিএসআরএম স্টিলের শেয়ার হলো ৩৭ কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজার ৫০০, এসএস স্টিলের ২৮ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার, বিএসআরএম লিমিটেডের ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৭, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ২২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪, বিবিএস কেবলসের ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার, রানার অটোমোবাইলের ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩২, কেডিএস এক্সেসরিজের ৬ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ১৫০, নাহি এ্যালুমিনিয়ামের ৬ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার, ন্যাশনাল পলিমারের ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৫, রংপুর ফাউন্ড্রির ১ কোটি এবং মুন্নু স্ট্যাফলার্সের ২৪ লাখ ৮৪ হাজার শেয়ার।
সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর মূল্য আয় অনুপাত (পিই) হলো-এসএস স্টিলের ৬.৪১, বিবিএস কেবলসের ৬.৮৯, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৮.৬১, বিএসআরএম স্টিলের ১৫.৭১, ন্যাশনাল পলিমারের ১৫.৮০, রানার অটোমোবাইলের ১৫.৮২, বিএসআরএম লিমিটেডের ১৬.৫০, নাহি এ্যালুমিনিয়ামের ১৭.৭২, কেডিএস এ্যাক্সেসরিজের ২০.৬১, রংপুর ফাউন্ড্রির ৩৫.৭৮ এবং মুন্নু স্ট্যাফলার্সের ১৭৮.৩৮।