পুঁজিবাজারে বেশ কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে আবারও বিমা এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে ফিরে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে এ দুই খাত। যার জের ধরে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গতকালের বাজারচিত্রে এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গতকাল সকাল থেকেই ওষুধ ও রসায়ন এবং বিমা কোম্পানির শেয়ারে চোখ ছিল বিনিয়োগকারীদের। যে কারণে অন্য খাতের তুলনায় এ দুই খাতের শেয়ারে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি ছিল। যার ফলে লেনদেনের শুরু থেকেই এসব কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকে। ফলে মোট লেনদেনে এগিয়ে যায় এ দুই খাত।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল মোট লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন এবং বিমা খাতের অবদান ছিল ৪০ শতাংশের বেশি। এদিন লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের কোম্পানির অবদান ছিল ২৫ শতাংশ। গত কয়েকদিন এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে। যে কারণে গতকাল কম দর পেয়ে এ খাতের কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরি হয়। যে কারণে দিন শেষে বাড়তে দেখা যায় খাতটির অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর।
এদিকে বেশ কয়েকদিন পর গতকাল বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিমা খাত। ওষুধ ও রসায়ন খাতের মতো কয়েকদিন ধরে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। যে কারণে গতকাল এ শেয়ার কিনতে আগ্রহ দেখান বিনিয়োগকারীরা। তাদের আগ্রহের কারণে দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৫ শতাংশের কিছু বেশি। এছাড়া গতকাল ব্যাংক খাত এবং বিবিধ খাতের কোম্পানিতেও বিনিয়োগকারীদের সন্তোষজনক আগ্রহ দেখা যায়।
অপরদিকে লেনদেন চিত্র দেখে মনে হচ্ছে, বিনিয়োগকারী এখন অনেক হিসাব করে বিনিয়োগ করছেন। যে কারণে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর এবং সূচক বাড়লেও লেনদেন কমে গেছে। গতকাল বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়। গতকাল লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এবং ইউনিটদর বাড়তে দেখা গেছে। বেড়েছে সূচকও। কিন্তু লেনদেন আগের চেয়ে কমে গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৭৮৩ কোটি টাকার শেয়ারও ইউনিট। আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা।