1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
সমাধানের পথে গ্রামীণফোন-বিটিআরসি দ্বন্ধ
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ এএম

সমাধানের পথে গ্রামীণফোন-বিটিআরসি দ্বন্ধ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯
gp-btrc

রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি করা পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা শর্তসাপেক্ষে দিতে রাজি হয়েছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার এমন তথ্য জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।

অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তাবনা অনুযায়ী এই পরিমাণ টাকা পর্যায়ক্রমে বিটিআরসিকে দিতে সম্মতির কথা জানালো গ্রামীণফোন। তবে, এর বিরোধিতা করে বিটিআরসির আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, গ্রামীণফোনের কাছ থেকে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা আমরা স্থগিত চাই।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির আইনজীবীদের বক্তব্যে এসব প্রস্তাব এসেছে।

শুনানি নিয়ে আদালত আগামী সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে গ্রামীণফোনকে কত টাকা বিটিআরসিকে দিতে হবে, তা সেদিন জানা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

এর আগে ৩১ অক্টোবর আদালত বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোন এখন কত টাকা দিতে পারবে, তা জানতে চেয়েছিলেন। একই সঙ্গে গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর (আজ) পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগে শুনানি হয়।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস। গ্রামীণফোনের পক্ষ ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মো. মেহেদি হাসান চৌধুরী।

বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

শুনানিতে গ্রামীণ ফোনের আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, অর্থমন্ত্রীসহ দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ৩ অক্টোবরের বৈঠকে ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। শর্ত ছিল—গ্রামীণ ফোনের ওপর বিটিআরসির আরোপ করা প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে দেওয়ার। এই প্রস্তাব অনুসারে দুই কিস্তিতে গ্রামীণ ফোন ওই টাকা বিটিআরসিকে দিতে সম্মত হয়।

শুনানিতে মাহবুবে আলম বলেন, অন্তত পাওনার ৫০ ভাগ অর্থ গ্রামীণফোন জমা দিক। তারপর কমিটির মাধ্যমে বাকি অর্থ পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

মাহবুবে আলম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের আরজি জানান। এ সময় আদালত বলেন, নমনীয় দৃষ্টিতে দেখতে হবে।

এর আগে বিটিআরসির পাওনা দাবি নিয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে। পাওনা দাবির অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চায় গ্রামীণফোন। এই নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর হলে তারা হাইকোর্টে আপিল করে।

১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ওই অর্থ দাবি আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ