গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের মেঘা দুই কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা ও স্কয়ার ফার্মা।
বেক্সিমকো ফার্মা : সপ্তাহজুড়ে বেক্সিমকো ফার্মার এক কোটি ৭০ লাখ ১৯ হাজার ৫৭টি শেয়ার ১৬৬ কোটি ৮৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩.৭০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭.৭৭ শতাংশ। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১০০ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩.১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৬.৪৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৩৪.০৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬.৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১২.৯৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১১.২৪।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৮ সালে কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ছয় টাকা ২৫ পয়সা আর এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ৪৯ পয়সা ও ৬১ টাকা ৮২ পয়সা।
স্কয়ার ফার্মা : তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ৭৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬টি শেয়ার ১৫২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩.৩৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৭.৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির কোম্পানিটির শেয়ারদর ০.৯৩ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০৩ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০২ টাকা ৬০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২০১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০৮ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৪টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৩৯৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৫৫ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৪.৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০.৫৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১৮.৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬.২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১২.৬৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২.২১।