1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫৩ কোম্পানির বিষয়ে বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫৩ কোম্পানির বিষয়ে বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০
BSEC

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫৩ কোম্পানি নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তিন শ্রেণীতে বিভাজন করে কোম্পানিগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ।

প্রথমত, যেগুলোর অস্তিত্ব নেই বা বছরের পর বছর বন্ধ বা কোনোভাবেই চালুর সম্ভাবনা নেই কিংবা মালিক বা উদ্যোক্তারা পলাতক, তাদের এক শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে যেসব মূল মালিকপক্ষ স্বল্প সংখ্যক শেয়ার নিয়ে কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে বা ইচ্ছাকৃতভাবে লোকসান দেখিয়ে ফায়দা তুলছে। তৃতীয় শ্রেণিতে রয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু থাকা কোম্পানি, যেগুলো ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতায় লোকসান করছে।

উল্লেখিত তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যেমতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এবং নতুন করে চালুর সম্ভাবনা নেই- এমন জেড ক্যাটাগরিভুক্ত বেশ কিছু কোম্পানি তালিকাচ্যুত করার পাশাপাশি কিছু কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন, কিছু কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক বা প্রশাসক বসানো হবে। তবে সব জেড কোম্পানির এজিএম বা ইজিএমে ই-ভোটিং বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে সব শেয়ারহোল্ডার তাদের মতামত জানাতে পারেন। এ বিষয়ে জেড ক্যাটাগরিভুক্ত শেয়ারগুলোর বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের অংশ হিসেবে শিগগিরই নতুন নির্দেশনা জারি করবে বিএসইসি। এরই মধ্যে নির্দেশনা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। সিদ্ধান্তগুলো রোববারের মধ্যে নির্দেশনা আকারে জারির প্রস্তুতি চলছে। নতুন নির্দেশনা ২০০২ সালের ১ আগস্টের নির্দেশনাকে প্রতিস্থাপন করবে। বর্তমানে ডিএসই ও সিএসইতে জেড ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানি ৫৩টি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, অস্তিত্বহীন বা চালুর সম্ভাবনা নেই- এমন কোম্পানিগুলোকে তালিকাচ্যুত করার নির্দেশনা দিতে পারে বিএসইসি। অবশ্য তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা যাতে পাওনা ফেরত পান, সেটির কিছু ব্যবস্থা থাকবে।

প্রথমত, সংশ্নিষ্ট কোম্পানির মালিকদের সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার কিনে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পাওনা আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ছাড়া যেসব কোম্পানির মূল মালিকপক্ষ স্বল্প সংখ্যক শেয়ার নিয়ে কোম্পানি দখলে রেখেছেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে লোকসান দেখাচ্ছেন, সেগুলোকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পর্ষদ পুনর্গঠন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ই-ভোটিং প্রক্রিয়ায় পরিচালক নির্বাচন করতে হবে। কোম্পানিটির যতটি শেয়ার থাকবে, ততটি ভোট হবে। যার যত শেয়ার, তার ভোটও হবে ততটি। এ ক্ষেত্রে প্রশাসক বসানোরও ক্ষমতা কমিশনের থাকবে।

পুনর্গঠিত পর্ষদকে কোম্পানিটিকে লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত করতে দুই থেকে সর্বোচ্চ চার বছর সময় দেওয়া হবে। এ সময় পর্ষদ কীভাবে কোম্পানিটি লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত করবে, তা দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।

তাছাড়া একই সঙ্গে পূর্ববর্তী পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের কার্যক্রম মূল্যায়ন করে কোম্পানিটির রুগ্‌ণ হওয়ার জন্য কারও দায় থাকলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে মামলা ও স্পেশাল অডিট করবে। কোম্পানি লাভজনক করা না গেলে, অন্য কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হবে বা অবসায়ন করে শেয়ারহোল্ডারদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতায় যে কোম্পানিগুলো লোকসানে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে পর্ষদ পুনর্গঠন করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। বিএসইসির পক্ষ থেকে দক্ষ ও যোগ্যদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ