1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ এএম

দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯

গত জুন পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এসব ঋণের মধ্যে ব্যাংকের খেলাপি এক লাখ ছয় হাজার ৫৫ কোটি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আট হাজার ৪২ কোটি টাকা। গতকাল সংসদে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ প্রণয়ন করেছে। এ আইনের আলোকে খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ১৬ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোয় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং কর্মপরিধি সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১২ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

একই সদস্যের আরেক এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান কার্যক্রম চলমান। নীতিমালা অনুযায়ী তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে অনলাইনে সরাসরি আবেদন করে থাকে। গত ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪৬ জন সরকারি কর্মচারী ঋণের আবেদন করলেও ১৯০ জন এ সুবিধা পেয়েছেন। আবেদনে ত্রুটি থাকায় ৫৬ জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। এ নীতিমালার আওতায় একক আবেদনকারী কেবল জমি ক্রয়ের জন্য কোনো ঋণ সুবিধা পাবেন না। তবে গ্রুপভিক্তিক জমি ক্রয়সহ বাড়ি নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।

পীর ফজলুল রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার রোধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে অর্থ পাচারবিষয়ক প্রায় ৪০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স কাজ করছে।

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে দেশে টিআইএনধারী করদাতার সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৩২। ঢাকাসহ ২৭ কর অঞ্চলের মাধ্যমে করদাতারা কর প্রদান করছেন।

তিনি বলেন, দেশের মোট ২৭টি কর অঞ্চলের মধ্যে কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চলসহ ঢাকা বিভাগে ১৭টি কর অঞ্চলে করদাতার সংখ্যা সর্বোচ্চ, এরপর চট্টগ্রাম বিভাগের চারটা অঞ্চলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং খুলনাসহ অন্যান্য বিভাগে ছয়টা কর অঞ্চলে বাকি করদাতা রয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সরকার আয়কর জরিপ, নিয়মিত অভ্যন্তরীণ জরিপ, উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে জমি ক্রয়-বিক্রয় তথ্য সংগ্রহ করে আয়কর নথি চালু, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয়কর নথি চালু, বছরব্যাপী কর প্রদানে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি বছর নভেম্বর মাসে আয়কর মেলা অনুষ্ঠান এবং ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করা হচ্ছে।

রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিদ্যমান বিও অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে সব বিনিয়োগকারী একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন করেন না। কিছুসংখ্যক বিনিয়োগকারী প্রায়ই লেনদেন করেন, কিছুসংখ্যক বিনিয়োগকারী স্বল্প ও দীর্ঘ বিরতির পর লেনদেন করেন।

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের মূল্যের উখান-পতন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিক নিয়মেই লাভ-লোকসান করতে পারেন।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বছরের গত ৯ মাসে বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৩ হাজার ৪৩৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শেয়ারবার্তা / হামিদ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ