1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজার থেকে লুটপাটকারীদের সরাতে হবেঃ বিএসইসি চেয়ারম্যান
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩০ এএম

পুঁজিবাজার থেকে লুটপাটকারীদের সরাতে হবেঃ বিএসইসি চেয়ারম্যান

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০২০

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে গুড গভর্ন্যান্সের কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি এখানে ভাল-ভদ্র মানুষের মাঝে কিছু লোককে বিনিয়োগকারীদের টাকা লুট করে নেওয়ার সুযোগ করে দেই, তাহলে এখানে আর কেউ আসবে না। তাই এই লুটপাটকারীদেরকে পুঁজিবাজার থেকে সরাতে হবে। এরা বিনিয়োগকারীদের শত্রু। এদের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রটেকশন দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

বিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে আমরা খুঁজে পেয়েছি এমন কিছু লোক, যারা চিহ্নিত, যারা সব সময় এখান থেকে মানুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে; যারা সঠিক ও সৎ ব্যবসা না করে অসৎ পন্থায় নানাভাবে মানুষকে পথে বসিয়ে দেন। আমরা দেখেছি, কিছু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী দেশে-বিদেশে চাকরি করে কিছু সেভিংস নিয়ে আসেন, অনেকে অনেক কষ্টের টাকা, এমনকি জমিজমা বিক্রি করে এখানে বিনিয়োগ করে ভাল কিছু রিটার্নের আশায়, তাদের টাকা-পয়সাগুলো নিয়ে যাচ্ছে। আমরা গভর্ন্যান্সের শক্তি দিয়ে তা আটকাবো। এই ধরনের কোনো সুযোগ আর এই মার্কেটে থাকবে না।

সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ক্যাপিটাল আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। এতে অংশ নেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মোঃ শাকিল রিজভী, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটালস পার্টনার্সের চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম এবং রয়্যাল ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মুনির আহমেদ।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরে ৫/৭টি ভাল আইপিও বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, সেটা বুক বিল্ডিং মেথড হোক অথবা যেভাবেই হোক-এখন থেকে আইপিওতে ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। আর ২০ শতাংশ শেয়ার ছাড়লে যেহেতু কর প্রণোদনার সুযোগ আছে, তাই কোম্পানিগুলো ন্যুনতম ২০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েই বাজারে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি বলেন, আপনারা যারা বাজারে আসেন তারা কিছু দিতেও এসেন, শুধু নিতে এসেন না। এখানে যারা ব্রোকারহাউজ আছে, এক্সচেঞ্জেস আছে, বিনিয়োগকারী আছে-তাদেরকে যদি ২০/৩০ শতাংশ না দেন, তাহলে আর তাদের সাথে থাকলেন কি করে। তাই একটু বড় মন নিয়ে আসতে হবে।

সবাইকে নিয়ে একসাথে কোম্পানি পরিচালনা করলে তো করপোরেট গভর্ন্যান্স বাড়ে। স্বচ্ছ মনে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কোম্পানি চালাতে চাইলে বিএসইসির আন্ডারে এলেই গভর্ন্যান্স লেভেল বেড়ে যায়।

পারিবারিক নিয়ন্ত্রণে থাকা কোম্পানিগুলো সম্পর্কে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অনেক কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রতিষ্ঠাতার অনুপস্থিতিতে অন্যরা ঠিকভাবে ধরে রাখতে পারছেন না। এগুলোতে করপোরেট গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নিয়ে এসে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে আইটি সক্ষমতা বাড়ানোসহ চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।

ওয়েবিনারে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বাজার অনেক ভালোর দিকে যাচ্ছে। এর জন্য টেকনিলজিক্যালি আরও শক্তিশালী হতে হবে। এদিক থেকে আমরা বেশ পিছিয়ে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনেক অগ্রগতি দেখা যাবে।

রয়্যাল ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মনির আহমেদ বলেন, অর্থনীতির সাথে মিল রেখে আমাদের পুঁজিবাজার এগুতে পারেনি। যেখানে অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, সেখানে কমে গেছে বাজারমূলধনের পরিমাণ।গত ১০ বছরে ৫৫ লাখ বিও হিসাব কমেছে।

তিনি বাজারে কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে একটি শক্তিশালী মার্কেটিং টিম গঠন করে কোম্পনিগুলোর সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে বাজারে আসার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। তবে আইপিওর সংখ্যার প্রতি জোর না দিয়ে মানের প্রতি জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ