প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বীমা খাতের এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও লটারির আগামীকাল ২৩ জুলাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, এ কোম্পানির আইপিওতে ৬গুন বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ২৬ কোটি টাকার আইপিও’র বিপরীতে মোট ১৬০ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারী ১৩৬ কোটি টাকা এবং ইলিজিবল ইনভেস্টরদের পক্ষ থেকে ২২ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছে।
এ ব্যাপারে কোম্পানির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) কে.এম. সা্ইদুর রহমান জানান, করোনা পরিস্থতির মধ্যেও এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সে চাহিদার তুলনায় ৬গুন বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যেহেতু বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আগের মতো করে লটারির আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে। বিএসইসি’র অনুমোদন অনুযায়ী আগামী সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৩ জুলাই ভারচ্যুয়ালি লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বের মহামারীর মধ্যেও আমাদের কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা রাখার জন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এছাড়া বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, আইডিআরএ, ব্রোকারেজ হাউজ, সিডিবিএল, ইস্যু ম্যানেজার, ইনভেস্টর ফোরাম, সাংবাদিক এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এর আগে কোম্পানিটির গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তৃতীয় দফায় আইপিও সাবস্ক্রিপশনের সময় ২ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।