বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ বাতিল করে নতুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইন, ২০২০ করতে যাচ্ছে সরকার।
নতুন আইনে বিএসইসির চেয়ারম্যান অথবা কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে শেয়ারবাজার, কোম্পানি আইন কিংবা এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ অন্তত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার বিধান রাখা হচ্ছে। এছাড়া, সংস্থার কোনো কর্মকর্তাকেও কমিশনার পদে নিয়োগ দিতে পারবে বলেও বিধান রাখা হচ্ছে। এছাড়া, বর্তমানে বেসরকারি খাত থেকে একজন কমিশনার রাখার বিধান থাকলেও নতুন আইনে তা বাতিল করা হচ্ছে।
গত ১৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রস্তাবিত আইনের খসড়া সবার মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
মতামত গ্রহণের পর তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। সর্বশেষ সংসদে আইন পাসের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রস্তাবিত আইনে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম ও ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশটি প্রায় একই রকম রাখা হয়েছে। সামান্য যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশে নিবন্ধিত যেকোনো কোম্পানির অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বিএসইসির কাছে থাকার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে এ বিষয়ে শুধু তালিকাভুক্ত কোম্পানির কথা বলা হয়েছে। অতালিকাভুক্ত কোম্পানির বিষয়টি এখানে অস্পষ্ট। তবে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের বেতন-ভাতা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুরূপ করার কথা বলা হয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জসহ পুঁজিবাজার সংশ্নিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান কমিশন থেকে নিবন্ধন না নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না- বিদ্যমান আইনের এ ধারা প্রস্তাবিত আইনেও যথারীতি রয়েছে।
একইভাবে বিদ্যমান আইনের মতো প্রস্তাবিত আইনেও কমিশনের অনুমতি ছাড়া দেশে বা দেশের বাইরে ইস্যু করা হয়েছে বা ইস্যুর প্রস্তাব করা হয়েছে- এমন কোনো শেয়ার কিনতে বা কেনার জন্য টাকা লেনদেন না করতে দেওয়ার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ১৯৬৯ অধ্যাদেশের আলোচিত ২সিসি ধারা বহাল রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত আইনের ২৩(২) (গ) ধারায় স্টক এক্সচেঞ্জ বা পুঁজিবাজার সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পর্যবেক্ষক এবং পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে ২৪(১) (গ) ধারায় প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনো কোম্পানির বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজকে তালিকাভুক্তি বা তালিকাচ্যুত করার নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা কমিশনের কাছে বহাল থাকবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে।