ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শেয়ারবাজার থেকে ১০৯ কোটি ৪০ টাকা সংগ্রহ করে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং। যা ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত সময় আরও ৬ মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখনো সেই ফান্ডের ৩২ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। এমতাবস্থায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই ফান্ড ব্যবহারে সময় বৃদ্ধি করেছে। এরমধ্যেই আবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত ২৯ অক্টোবর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় বোনাস শেয়ার ঘোষণার মাধ্যমে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রেও ব্যবসায় সম্প্রসারনের নামে মুনাফা কোম্পানিতে রাখার দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। অথচ কোম্পানিটি প্রায় ২ বছর আগে রাইটে ফান্ড সংগ্রহ করেও তা ব্যবহার সম্পন্ন করতে পারেনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ১০৯ কোটি ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। যা ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ মাস বা ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষেও ৩৬ কোটি ১ লাখ টাকা বা ৩২.৩৮ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। এরমধ্যে কোম্পানিটির পর্ষদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় অর্জিত ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা মুনাফার মধ্যে ১৩ কোটি টাকা কোম্পানিতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ০.৭৪ টাকা হিসেবে মোট ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্য থেকে ২ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ০.২০ টাকা হিসাবে মোট ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ বিতরন করা হবে। মুনাফার বাকি ১৩ কোটি টাকা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া হবে।
ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আলিফ কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ০.৮০ টাকা হিসাবে ১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। এজন্য শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে একই পরিমাণ শেয়ার ইস্যু করা হবে।
২৪০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের আলিফে ৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস