পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন প্রক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদ উল্লাহ। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তিনি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অফিস গুটিয়ে লাপাত্তা হওয়া শহিদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নুপুরকে সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার মিণ্টু রোডের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার বিও হিসাবধারী শেয়ার কেনাবেচা করতেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অগোচরে ১৮ কোটি টাকা অন্য এক হিসাবে সরিয়েছেন।
গত ২২ জুন ব্রোকারেজ হাউজ বন্ধ করে তারা পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারীর প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এবং ওই শতকোটির টাকার মধ্যে থেকে তারা ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়াও ৪৪-৪৫ জনের কাছ থেকে তারা মুনাফা দেয়ার শর্তে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। ওই টাকা আত্মসাৎ করতেই তারা আত্মগোপন করেন।
আত্মসাৎ করা টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখব। তদন্তের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেব। তাদের অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, কোথায় কোথায় টাকা পাঠানো হয়েছে সেসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখব।
শেয়ারবার্তা / সাদ্দাম