প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৭৪ লাখ ৭ হাজার ৮৮৭টি শেয়ার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের এক দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা দুই টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৬ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৬৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬১৬টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৯৬ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১০ কোটি ৯৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৮৬ টাকায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল; যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৮ সালে কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ছয় টাকা ২৫ পয়সা আর এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা; যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ৪৯ পয়সা ও ৬১ টাকা ৮২ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৩৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত আট দশমিক ৯২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে সাত দশমিক ৭২।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৪১৯টি শেয়ার ২৭ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৭২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা চার পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ১২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুন ছিল ৩৮ টাকা ৭৪ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল পাঁচ টাকা দুই পয়সা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ১৯ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৪ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৩৯টি শেয়ার মোট এক হাজার ৮৬৯ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর সাত কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৩৫ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
শেয়ারবার্তা / আনিস