সহযোগী কোম্পানি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সহযোগী কোম্পানি গঠন করবে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করবে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি পাওয়ার পর কোম্পানি প্রতিষ্ঠার যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হবে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ছয় হাজার ৮৬১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক ২০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক ৩৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৯ টাকা ৮৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২২ টাকা ৯৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল তিন টাকা। আগের বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাংক ডিপোজিটের পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে কোম্পানিটির নগদ অর্থপ্রবাহ বেড়েছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ জুলাই বেলা ১১টায় অনলাইনে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৮ সালেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় মোট মুনাফা করে ২২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যেক্ষেত্রে তার আগের বছর ছিল সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ এবং মুনাফা হয়েছিল ২১১ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়া সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। এই প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ৫৭ পয়সা।
আর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৯ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ২০ টাকা ৪৬ পয়সা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৭৪ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল ৭১ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ৮৩ হাজার ৬১৬টি শেয়ার মোট ২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২০ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত আট দশমিক শূন্য ছয় এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিন দশমিক ৪৯।