করোনাভাইরাসের কারণে বিকাশ, রকেটের মতো সেবার ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। কারণ পোশাকশ্রমিকদের বেতন, সরকারি ভাতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব সেবা ব্যবহার একরকম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণ। মার্চের তুলনায় এপ্রিলে লেনদেন কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ডাক বিভাগের সেবা নগদের তথ্য এই হিসাবে আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই সেবায় গত জানুয়ারিতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয় ৪১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। মার্চে তা আরও কমে হয় ৩৯ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর এপ্রিলে এসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ২৯ হাজার ২৯ কোটি টাকায়।
জানা গেছে, গত এপ্রিলে টাকা জমা ও উত্তোলন কমেছে ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। এপ্রিলে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে ৯৬৮ কোটি টাকা হয়েছে। আগের মাসে যেখানে দৈনিক লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। নিম্ন আয়ের মানুষের আয় বন্ধ বা কমে গেছে। এর ফলে বিকাশ-রকেট ব্যবহার বাড়লেও লেনদেন কমেছে
তবে এপ্রিলে এজেন্ট বেড়ে হয়েছে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৬৫ জন, মার্চে যা ছিল ৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৮ জন। এ সেবা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৮ কোটি ৫১ লাখ গ্রাহক। এর মধ্যে এপ্রিলে সচল হিসাব বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার, মার্চে যা ছিল ২ কোটি ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনের বড় অংশই করেন নিম্ন আয়ের। গত এপ্রিলে তাদের বেশির ভাগের আয় বন্ধ ছিল। যার প্রভাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি মেনে বর্তমানে ১৫টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। কয়েকটি ব্যাংক এ সেবা চালুর পর আবার বন্ধও করে দিয়েছে। বর্তমানে এ সেবায় শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এরপরই ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট।
শেয়ারবার্তা / আনিস