ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে ক্রাউন ব্র্যান্ডের এমআই সিমেন্ট। তবে এখন সেই কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয় মাত্র ১০ শতাংশ। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল ও লভ্যাংশ উভয় ক্ষেত্রেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১০-১১ অর্থবছরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ার ১১১.৬০ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১০১.৬০ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় মাত্র ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ১ শতাংশেরও কম বা ০.৯০ শতাংশ।
এ কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে প্রতি শেয়ারে ব্যয় (কস্ট) দাড়াঁয় ৮২.৬৭ টাকা। এরপরে ২০১২ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে তা নেমে আসে ৭৫.১৫ টাকায়। এখন সেই কস্ট ভ্যালুর বাজার দর আছে ৪৩.৮০ টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারে ক্যাপিটাল লোকসান আছে ৩১.৩৫ টাকা।
এদিকে ওই ৭৫.১৫ টাকায় গত ৯ বছরে লভ্যাংশ পাওয়া গেছে ১৬ টাকা। তবে ৭৫.১৫ টাকা ব্যাংকে এফডিআরে ৫ শতাংশ সুদেও বছরে ৩.৭৬ টাকা পাওয়া যেত। যাতে ৯ বছরে আসত ৩৩.৮৪ টাকা। একইসঙ্গে ৩১.৩৫ টাকা ক্যাপিটাল লোকসান থেকে রক্ষা হত।
এমআই সিমেন্ট থেকে ২০১৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এরপরে ২০১৪ সালে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। যা ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ ও ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
এমআই সিমেন্টের আইপিও পূর্ব ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯.৩৯ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নেমে এসেছে ১.৬৯ টাকায়। ৯ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৭.৭০ টাকা বা ৮২ শতাংশ।
এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে জানান এমআই সিমেন্টের সচিব মজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব বিষয়ে আর্থিক হিসাবে বিস্তারিত দেওয়া আছে, সেখান থেকে যা জানার, তা জেনে নিতে পারবেন।