করোনাভাইরাসের মহামারিতে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনে নাকাল অবস্থা। এরমধ্যে ফ্লোর প্রাইস বেধেঁ দেওয়ায় লেনদেনে আরও স্থবিরতা চলে এসেছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) রবিবারের (২১ জুন) লেনদেনকে আবারও ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, রবিবার ডিএসইতে মাত্র ৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা ১৩ বছর ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল আজকের চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার।
এর আগে গত ৪ জুন ডিএসইতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
রবিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৩৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৯ পয়েন্টে, ১৩২৭ পয়েন্টে এবং ৭৮৬ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭টির বা ৬.৯৪ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৪টির বা ৫.৭১ শতাংশের এবং ২১৪টির বা ৮৭.৩৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫২ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৯১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭টির আর ৭৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯ কোটি ২৪ লাভ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।