1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
করোনায় ঋণ পরিশোধে সময় বৃদ্ধি
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ এএম

করোনায় ঋণ পরিশোধে সময় বৃদ্ধি

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০
Bangladesh Bank

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধার সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপি করা যাবে না। এ সুবিধা আগে জুন পর্যন্ত ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।

সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

ফলে বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে যদি কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা এই সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করেন, তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।

ক‌রোনাভাইরা‌সের (কোভিড-১৯) কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তাই ঋণ বা বিনিয়োগগ্রহীতার ব্যবসায়ের ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ প‌রি‌শোধ ও শ্রেণিকরণের নি‌র্দেশনা দি‌য়ে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলা‌রে বলা হয়ে‌ছে, চল‌তি বছ‌রের ১ জানুয়ারি থে‌কে ঋণ বা বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে উক্ত ঋণ বা বিনিয়োগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে, কোনো ঋণের বা বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।

খ) অনুচ্ছেদ-৩(ক)-এ বর্ণিত নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে চল‌তি বছ‌রের ১ জানুয়া‌রি বিদ্যমান মেয়াদী (স্বল্পমেয়াদী কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) ঋণ বা বিনিয়োগসমূহের বিপরীতে চল‌তি বছ‌রের ১ জানুয়া‌রি হতে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিসমূহ ডিফার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে চল‌তি বছ‌রের অক্টোবর থেকে সংশ্লিষ্ট ঋণ বা বিনিয়োগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হবে।

পুনঃনির্ধারণকালে জানুয়ারি থে‌কে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যতসংখ্যক কিস্তি প্রদেয় ছিল তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বাড়বে।

চল‌তি বছ‌রের ১ জানুয়ারি থে‌কে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের কোনো কিস্তি পরিশোধিত না হলেও উক্ত কিস্তিসমূহের জন্য মেয়াদী ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতা কিস্তি খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

১ জানুয়ারি বিদ্যমান চলমান ও তলবি ঋণ বা বিনিয়োগের মেয়াদ বা সমন্বয়ের তারিখ বিদ্যমান মেয়াদ হতে ৯ (নয়) মাস বা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ (যেটি আগে ঘটে) পর্যন্ত বাড়বে।

সুবিধা চলাকালীন ঋণ বা বিনিয়োগের উপর সুদ বা মুনাফার হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এতদসংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা বলবৎ থাকবে। তবে, উক্ত সময়ে ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর কোনরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

কোনো গ্রাহকের সুবিধা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত না হলে পূর্বনির্ধারিত পরিশোধসূচি অনুযায়ী অথবা ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থ সমন্বয় করা যাবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৪৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ