1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
কালো টাকা বিনিয়োগে শর্ত প্রত্যাহারের দাবি-বিএমবিএ
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৮ এএম

কালো টাকা বিনিয়োগে শর্ত প্রত্যাহারের দাবি-বিএমবিএ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
taka

আগামী ২০২০-১২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সামগ্রিকভাবে স্বাগত জানালেও পুঁজিবাজারের জন্য বাজেট প্রস্তাবনাগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। সংগঠনটি পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বিনিয়োগে শর্ত প্রত্যাহার ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানোসহ ৫টি বিষয় পুনঃবিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে।

আজ রোববার (১৪ জুন) বিএমবিএ এসব বিষয় তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে একটি চিঠি দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এই চিঠির একটি অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। তাতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে কোনো শর্ত দেওয়া না হলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছরের বিনিয়োগ বহাল থাকা তথা লকইনের শর্ত দেওয়া হয়েছে।

বিএমবিএ মনে করছে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনা, নগদ জমা, ব্যাংক জমা, সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো শর্ত না থাকায় মানুষ ৩ বছরের লক-ইন শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবে না। তাই অন্যান্য খাতের মতো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনো শর্ত থাকা উচিত নয়। শর্তটি বহাল থাকলে পুঁজিবাজারের চেয়ে ব্যাংকে আমানত রাখা বা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার বিষয়ে মানুষ আগ্রহী বেশী হবে। এতে করে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে না।

বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার না কমিয়ে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএমবিএ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।

বিএমবিএর চিঠিতে এই বিষয়ে বলা হয়েছে,  প্রস্তাবিত বাজেটে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২.৫% কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে এখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের পার্থক্য হবে ৭.৫%। ফলে ভাল ও বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ আরও বেশী নিরুৎসাহিত হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে। অথচ ১০ শতাংশ পার্থক্যের মধ্যেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভালো কোম্পানি আনতে পারছে না বলে প্রচুর অভিযোগ প্রচলিত আছে। সত্যিকার অর্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কিছুই করার নাই। যারা প্রচলিত আইন মেনে পুঁজিবাজারে আসতে চায়, নিয়ন্ত্রকসংস্থা তাদেরকে অনুমোদন দেয়।

ব্রোকারহাউজে লেনদেনে বিদ্যমান করহার কমানোরও দাবি করেছে বিএমবিএ। সংগঠনটি বলেছে,  পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন লেনদেনের উপর ০.০৫% কর কর্তন করা হয় এবং এটি ফেরত বা সমন্বয় যোগ্য নয়। যার ফলে একদিকে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে কর প্রদান করে যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে এ কর হার ছিল ০.০১৫%। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কর হার কমিয়ে আগের ০.০১৫% নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের গভীরতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে ভাল ও বড় কোম্পানিসমূহকে তালিকাভুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হারের পার্থক্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির হার ২৫% এর পরিবর্তে ২০% করার অনুরোধ করছি। তাতে বৃহৎ ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হতে পারে। এর মাধ্যমে সরকারের মোট কর আয় কমবে না, বরং বাড়তে পারে। কারণ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অনেক বেশী তদারকি হয়, যার ফলে কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ কম।

বিএমবিএ বাজেটে মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার কমানোর প্রস্তাব করেছে। এ বিষয়ে সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশে মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবসার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। আর্থিক সক্ষমতার অভাব, নিজস্ব মূলধন ব্যতিত অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থ যোগানের সুযোগ নেই। দীর্ঘ দিনযাবত পুঁজিবাজার মন্দা অবস্থায় আছে। তার উপর মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭.৫%। যা মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য বাড়তি চাপ। তাছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার অন্যান্য অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ৩২.৫% নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে বিএমবিএ।

চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, শেয়ারবাজারের গভীরতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে বন্ড সহায়ক হতে পারে এবং এ বিষয়ে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীগণ ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল গেইনে বেশী আগ্রহী। বন্ডকে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করতে হলে বন্ডের আয়ের উপর কর হার কমাতে হবে। নইলে বিনিয়োগকারীরা বন্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না। জিরো কূপন বন্ডকে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য করার জন্য কর প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ