আর্থিক খাতের কোম্পানি ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (আইএফআইএল) পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে ইসলামিক ফাইন্যান্স। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে এক টাকা ৩৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৮৪ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২১ জুলাই ২০২০ তারিখে বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ জুলাই।
একইসঙ্গে ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবদেন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর প্রথম প্রান্তিকে ইসলামিক ফাইন্যান্সের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৫ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১৪ টাকা ৮৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৪ টাকা ৩৮ পয়সা। এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ১০ পয়সা লোকসান, আগের বছর ছিল তিন টাকা ৩০ পয়সা (লোকসান)।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬৫ পয়সা। আর ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ২৪ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও একই ছিল। দিনজুড়ে তিন হাজার ৬৮৯টি শেয়ার মোট ছয়বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৫ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।