পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু’-মার্চ’২০) ইউনাইটেড পাওয়ার তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) করেছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ৪ টাকা ৭২ পয়সা।
অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৮ টাকা ৯৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৭১ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু’-মার্চ’২০) শুধু ইউনাইটেড পাওয়াররের শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ২ টাকা ৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা।
অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) ইউনাইটেড পাওয়াররের শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ৬ টাকা ৬২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ৭ টাকা ৮ পয়সা।
তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১১ টাকা ৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ টাকা ৫৭ পয়সা। অন্যদিকে তিন প্রান্তিকে এককভাবে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৬টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ৬ টাকা ৬৩ পয়সা ছিল।
গত ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৪ টাকা ২৬ পয়সা। আর এককভাবে ছিল ২৮ টাকা ১ পয়সা।
গত বছরের তুলনায় এবার ইপিএস কম হওয়ার পেছনে দুটি কারণের কথা জানিয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। তাদের ভাষ্য অনুসারে, গত বছর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির কারণে মূলধনী মুনাফা ছিল, যা এ বছর ছিল না। দ্বিতীয়ঃ গত বছর আশুগঞ্জ ৫৩ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টটি পূর্ণ ক্ষমতা উৎপাদনে ছিল। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি এখন বন্ধ। তবে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।