বুকে চিনচিনে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট, কিংবা বুকে চাপ থেকে হার্ট অ্যাটাকের কবলে ঢলে পড়া। চিনচিনে ব্যথার পরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা জানান দিচ্ছে, হৃদযন্ত্র এবার ছুটি নেওয়ার পথে। তাই সমস্যা শুরুর অনেক আগে থেকেই হার্টের যত্ন নিন।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রকাশ হাজরা বলেন, ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, ধূমপানে আসক্তি, হাই কোলেস্টেরল, হাইপার টেনশন ইত্যাদি হার্টের রোগকে টেনে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।
এদের মধ্যে বেশির ভাগ লাইফ-স্টাইল ডিজিজ হলেও একমাত্র ধূমপান পুরোটাই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই প্রথমেই ওটা বাদ দিতে হবে। তারপর লাইফস্টাইলের কারণে হওয়া অসুখগুলো ঠেকাতেও যত্নশীল হতে হবে। যাদের পরিবারে হার্টের অসুখের ইতিহাস আছে, তাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
হার্ট দুর্বল হলে ব্যথা কেবল হৃদযন্ত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে না। হাঁটাহাঁটির সময় চোয়াল বা হাতেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণত হাঁটাচলা করলে এই ব্যথা জানান দেয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে বিশ্রামের সময়েও ব্যথা টের পাওয়া যায়। তাদের বেলায় আবার হাঁটাচলায় এ ব্যথা আরও বাড়ে।
মাঝে মাঝেই শরীর হালকা হয়ে পড়া বা ব্ল্যাক আউট হলে তা যে শুধুই মস্তিষ্কের কোনো অসুখ বা রক্ত-চাপজনিত সমস্যা তেমনটা নাও হতে পারে। তাই এমন প্রায়ই হলে অবশ্য হার্টেরও পরীক্ষা করান।
সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে গেলে বা বুকে চাপ লাগলে হার্টের অবস্থা জেনে নিন। তবে কেবল লক্ষণ জানলেই তো হবে না, অসুখ ঠেকিয়ে রাখার পাঠ নিয়েও স্পষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুর হার্টের যত্ন নিন, সঙ্গে নিজেদেরও। হার্ট ভালো রাখতে গেলে কয়েকটা নিয়ম মানতেই হয়।
যেমন:
প্রথমেই বাদ দিন তেল-মশলার খাবার। তেলেভাজা, ফাস্ট ফুডও বন্ধ করতে হবে। রেড মিট খুব ভালোবাসলে খান, তবে সপ্তাহে দুই পিসের বেশি নয়। ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের প্রয়োজন আছে। কিন্তু অসুখ ও ওজন বুঝে, তাই ঠিক কতটুকু ফ্যাট শরীরে লাগবে তা আগে জেনে নিন ডায়েটেশিয়ান ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে।
ধূমপানকে না বলতে শিখুন। মনের জোর ছাড়া এই অভ্যাস ত্যাগ করা যায় না। তাই শরীরের জন্যই এটা বাদ দিতে হবে।প্রতি দিন একটানা হাঁটুন অন্তত ২৫-৩০ মিনিট। অন্তত সপ্তাহে ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করুন।
রাতের ঘুম আর সবুজ শাকসবজি খাওয়া, এই দুটোর সঙ্গে আপস করবেন না কখনও। বাদ দেবেন না