চলতি বছরের ২০২০ সাল এর প্রথম প্রান্তিক অনলাইনে ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ পয়সা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৫ পয়সা।
আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকের ফেজবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ সেশনের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে ব্যাংকটি।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের মার্চ শেষে ছিল ২৩ টাকা ৫৭ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।
সভাপতির বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কমে এসেছে পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতি। একই অবস্থা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতেও। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৬৭ শতাংশ রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেলেও আমদানি-রপ্তানির আকার একেবারেই ছোট হয়ে এসেছে। এর প্রধান কারণ একটাই করোনাভাইরাস। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাংক যা কিছুই করুক না কেন প্রাইম ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলার চেষ্টা করে যাবে। এই মূহুর্তে খাতের সবাই একত্রে কাজের পাশাপাশি আইটি ভিত্তিক ব্যাংকিং বা ই-ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দিতে চান তিনি।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যাংকের মুনাফা এবং ঋণ বিতরণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি প্রভাব ফেলেছে সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নিয়ে আসার নির্দেশনা। তবে এই সংকট মোকাবেলায় সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। যা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্যাংকিং খাত। এতে সরাসরি সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সিআরআর,পলিসি রেট,এ ডি আর সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ তৈরি করাই বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিজনিত সংকট মোকাবেলা আরো সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো জানান আলোচ্য সময়ে ৬৭ শতাংশ রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাইম ব্যাংকের।