শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অপেক্ষায় থাকা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। কোম্পানিটির গত ৫ বছর ধরে টানা ব্যবসায় মুনাফা কমেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা অর্ধেকে নেমে এসেছে। যা কোম্পানিটির ইক্যুইটি ব্যবহারের তুলনায় মুনাফা অর্জনকে বীমা খাতের অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে।
প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, গত ৫ বছরে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আয় এবং মুনাফা বাড়েনি, বরং কমেছে। ৫ বছর আগে ২০১৪ সালে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ৪২ কোটি ৩ লাখ টাকা। যা ২০১৮ সালে নেমে এসেছে ৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকায়। আর কর পূর্ববর্তী ২০১৪ সালের ১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মুনাফা কমে এসেছে ৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকায়।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ২০১৪ সালে নিট মুনাফা হয়েছিল ৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যা ২০১৫ সালে কমে হয় ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এরপরে ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৬ সালে ৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ২০১৭ সালে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ও ২০১৮ সালে ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন…..
তারল্য সংকটের শেয়ারবাজার থেকে অর্থ নিয়ে এফডিআর করবে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স
নিট মুনাফায় পতনের ফলে শেয়ারপ্রতি মুনাফাও (ইপিএস) কমেছে ধারাবাহিকভাবে। এ কোম্পানিটির ২০১৪ সালে ইপিএস হয়েছিল ২.৬৪ টাকা। যা ২০১৫ সালে কমে আসে ১.৪৪ টাকায়। যা নিয়মিত কমে ২০১৬ সালে ১.২৬ টাকায়, ২০১৭ সালে ১.২০ টাকায় ও ২০১৮ সালে ইপিএস ১.১২ টাকায় নেমে এসেছে।
এদিকে ২০১৭ সালে বীমা খাতে গড় রিটার্ন অন ইক্যুইটি ছিল ১২.৩০ শতাংশ। যার পরিমাণ এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের মাত্র ৬.২৯ শতাংশ। অর্থাৎ বীমা খাতের গড় হিসাবের অর্ধেকে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স।
মুনাফার সাথে সাথে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদও (এনএভিপিএস) কমেছে। কোম্পানিটির ২০১৪ সালের ১৯.৫৫ টাকার এনএভিপিএস ২০১৮ সালে নেমে এসেছে ১৮.৭২ টাকায়।
এ বিষয়ে জানতে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আওয়ালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া ম্যাসেজ দিয়েও কোন জবাব পাওয়া যায়নি।