গরমে একগ্লাস লেবুর শরবত মানব শরীরে দেয় প্রশান্তি। খাবারে লেবুর রস স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ভিটামিন সি’র অন্যতম উৎস হিসেবে লেবু যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে সে কথা কমবেশি সবাই জানেন। সেই সাথে এই লেবু রূপচর্চাতেও ব্যবহার হয় নানানভাবে।
চলুন রূপচর্চায় লেবুর নানান ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক
মুখে ব্যবহার:
লেবু প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা ত্বক ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই ভিটামিন ত্বকের ক্ষয় দূর করে এবং অকালে বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে। ত্বক মসৃণ রাখে, গরম ও ঘামের কারণে হওয়া তৈলাক্তভাব কমায়। এর অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান ত্বকের মৃতকোষ এবং ব্রেক আউট দূর করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লেবু:
ডাবের পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটা তৈলাক্ত ত্বকে খুব ভালো কাজ করে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ডাবের পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন, ত্বক মসৃণ হবে।
মাথার ত্বকে ব্যবহার:
লেবুতে আছে অ্যান্টিসেপ্টিক ও প্রদাহরোধী উপাদান যা মাথার ত্বক পরিষ্কার করে খুশকি ও রুক্ষতার বিরুদ্ধে কাজ করে। এটা উচ্চ পিএইচ সমৃদ্ধ যা চিটচিটেভাব কমায়, ফলে খুশকি দূর হয়। মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে খুশকি কমার পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত হবে, চুল পড়া কমবে।
কালচেভাব দূর করে:
কালচে কনুই ও হাঁটুর সমস্যা অনেকেরই আছে। এই দাগ হালকা করতে এসব জায়গায় লেবু ও লবণের মিশ্রণ ঘষুণ। ভিটামিন এ এবং সিট্রিক অ্যাসিড এক্ষেত্রে চমৎকার কাজ করে। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুতিনবার লেবু ও লবণের মিশ্রণ আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন।
ঠোঁটে ব্যবহার:
গরমকালেও ঠোঁট হতে পারে শুষ্ক ও মলিন। এই সমস্যা দূর করা যায় লেবুর সাহায্যে। লেবু ও চিনির মিশ্রণ আলতোভাবে ঠোঁটে মালিশ করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করে লেবু:
লেবুর রস ও বাদামি চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে। লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান রাসায়নিক এক্সফলিয়েটরের চেয়ে ভালো। চিনির দানাদার অংশ সরাসরি এক্সফলিয়েটরের কাজ করে। লেবু ও চিনির সংমিশ্রণ ত্বকের মৃত কোষ দূর করতেও কার্যকর।