বিনিয়োগকারী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও ধনকুবেরদের জন্য প্রথম ধাপের ‘প্রিমিয়াম’ আবাসন ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। সৌদিতে বসবাস করতে ইচ্ছুক বিদেশিদের এই ভিসাদান প্রক্রিয়া সোমবার থেকে শুরু হয়েছে।
তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্যতা আনার লক্ষ্যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিদেশিদের এই ভিসা দিচ্ছে সৌদি আরব।
সৌদি আরবের প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি সেন্টার বলছে, গত কয়েক মাসে দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে আবাসনের জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়েছে নিবন্ধন অনলাইন পোর্টালে।
রেসিডেন্সি সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বন্দর আল-আয়েদ বলেছেন, সৌদি আরবে প্রত্যেককে স্বাগত। যারা প্রাসঙ্গিক শর্ত পূরণ করতে পারবেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য সৌদির প্রিমিয়াম আবাসন সুবিধা মিলবে। এমনকি যদি তারা সৌদি আরবে বসবাস করে থাকেন কিংবা বাইরে থেকে এসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান; সবাই এই সুবিধা পাবেন।
যুবরাজের এই কর্মসূচির আওতায় বিদেশি নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ মেয়াদে সৌদি ভিসা এবং অন্যান্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অতীতে দেশটিতে বিদেশিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পেতেন না; এখন সেসবও পাবেন।
তবে সৌদি এই প্রিমিয়াম আবাসন ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। আর্থিক সক্ষমতা, অপরাধের রেকর্ডমুক্ত এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। স্থায়ী প্রিমিয়াম আবাসনের জন্য এক মেয়াদে ৮ লাখ সৌদি রিয়াল ফি পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া আবাসন নবায়নের জন্য বার্ষিক এক লাখ রিয়াল ফি দিতে হবে।
সৌদি প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি সেন্টার বলছে, উভয় ধরনের ভিসা থাকলে বিদেশিরা সৌদিতে ব্যবসার লাইসেন্স, নিজস্ব প্রাইভেট যানবাহন এবং মক্কা, মদিনায় সম্পত্তি ক্রয়সহ রিয়েল স্টেট ব্যবসাও করতে পারবেন।
এছাড়া যারা বেসরকারি খাতে কাজ করছেন; তারা অনায়াসেই এক কোম্পানি পরিবর্তন করে অন্য কোম্পানিতে যেতে পারবেন। তবে তারা সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু চাকরি করতে পারবেন না। প্রিমিয়াম রেসিডেন্সিপ্রাপ্ত বিদেশিরা এক্সিট এবং এন্ট্রি ভিসার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দর্শনার্থী ভিসাও করতে সক্ষম হবেন। গত জুনে সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা দেশটির অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যতার বিকাশের জন্য এই আবাসন কর্মসূচির অনুমোদন দেয়। সূত্র : দ্য ন্যাশনাল।
শেয়ারবার্তা / হামিদ