ব্যাংকে সঞ্চয়ে সুদ হার কমানো হয়েছে অনেক আগেই। ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের ভরসা ছিল ডাকঘর। এবার ডাকঘরে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে লাগাম টানলো সরকার। হঠাৎ করে বিনিয়োগ ঊর্ধ্বসীমা তিন ভাগের দুই ভাগই কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ খাতের একক নামে বিনিয়োগ ঊর্ধ্বসীমা ৩০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর যুগ্ম-নামে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ৬০ লাখ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। সম্পর্কিত খবর হবিগঞ্জে মিষ্টির দোকান থেকে সরকারি চাল জব্দশিল্প সচিবের দায়িত্ব নিলেন কেএম আলী আজমআরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
গত ২০ মে স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) জারি করেছে। এ আদেশ জারির দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার প্রায় অর্ধেক কমিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। তবে এ সঞ্চয় স্কিমে সুদহার কমানোর ফলে এক মাসের মধ্যে সংসদের ভেতরে, বাইরে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সমালোচনার মুখে সুদের হারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
সে আশ্বাস অনুযায়ী ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সাধারণ ও মেয়াদি আমানতের সুদহার আগের অবস্থানে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৭ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। সেদিন থেকেই এটি কার্যকর করা হয়েছে।
সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদহার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া তিনবছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার হবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য সুদ পাওয়া যাবে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। দুই বছরের ক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।
হঠাৎ কেনো বিনিয়োগে লাগাম টানা হলো জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংক আমানতে সুদহার যখন ৬ শতাংশ তখন ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের কিংবা সঞ্চয়পত্রে সুদহার সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তার খাত হিসেবে বিবেচিত এ খাতে অনেক ধনী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করছে। পাশাপশি এ খাত থেকে ঋণ নিলে সরকারকে বেশি পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে সরকারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে কালো টাকা এবং অতিরিক্ত বিনিয়োগ বন্ধে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এর এ নতুন মডিউলটি গত ১১ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উদ্বোধন করেন।
শেয়ারবার্তা / মিলন