পুঁজিবাজারের নেতারা বিনিয়োগকারীদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একইসাথে ঈদের পর পুঁজিবাজারে আস্থা, স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বাড়বে এবং ভালো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাঁরা।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর নবাগত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিনিয়োগকারীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিনিয়োগকারীরা বিপদের মধ্যেই আছে। সেই সাথে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় তাদের সমস্যাও হচ্ছে। আমরা আশা করি ঈদের পরপরই বাজার খুলে দেব এবং বিনিয়োগকারীরা স্বাচ্ছ্যন্দে তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আসবেন। আমরা একটা ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করব। যাতে বাজারে অংশগ্রহনকারীরা সবাই স্বাচ্ছ্যন্দে থাকে এবং আনন্দের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারে। আর কোনকিছু যদি বাজারের সঙ্গে ইতিবাচক বলে মনে না হয়, তাহলে বিএসইসির নজরে আনার জন্য সবাইকে বলব এবং আমরা তা সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব। কমিশন টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে না, তবে নীতি সহায়তা দিয়ে সহায়তা করতে পারে। যা আমরা অবশ্যই করব।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বিনিয়োগকারীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশ না হয়ে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এখন অনেক শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য আছে। এছাড়া করোনাভাইরাস পরবর্তীতে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা আসবে। যা স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই পুঁজিবাজার ঘুরে দাড়াবে বলে মনে করেন তিনি। এই অবস্থায় ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে লোকসানের সম্ভাবনা নেই। তাই বিনিয়োগকারীদেরকে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর অন্তর্ভুক্ত সকল সদস্য, ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীদেরকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্টক এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আসিফ ইব্রাহিম। একইসঙ্গে করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান করেছেন। অদূর ভবিষ্যতে শেয়ার বাজার খুলবে এবং সকলেই সেই দিনের দিকে তাকিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুঁজিবাজার নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, কমিশন একটি নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে। যারা দক্ষ হওয়ায় সবাই তাদের প্রতি আশাবাদি। এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই উন্নয়নের ছাপ রেখেছেন। আর পুঁজিবাজারেও রাখতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদি। এছাড়া আমাদের পুঁজিবাজার এখন বিনিয়োযোগ্য। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে মূল্য-আয় (পি/ই) অনুপাত ২০ এর কাছাকাছি থাকলেও আমাদের দেশে সেটা ১১ এর নিচে। এছাড়া এফডিআর এর সুদের হার কমে আসায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে। সবমিলিয়ে পুঁজিবাজার ঘুরে দাড়ানোর অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হয়ে বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের চরম বাস্তবতা হচ্ছে বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারি। এরমধ্যে দিয়েই আমাদেরকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ঈদ উদযাপন করতে হবে। এই ঈদে আমার পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
শেয়ারবার্তা / আনিস