শর্ত সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করার সম্মতি চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।আগামি ১০ মে লেনদেন চালু করার সম্মতি চেয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বরাবর এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩ মে) দুপুরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক সাক্ষরিত এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
লেনদেন চালুর ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা প্রণয়ন ও আইনকানুন বিষয়ে অব্যাহতি চেয়েছে ডিএসই। এসবের মধ্যে শেয়ারবাজারকে অপরিহার্য সেবার (এসেনশিয়াল সার্ভিস) মধ্যে ঢুকানোর দাবি করা হয়েছে। এছাড়া এই মুহুর্তে লেনদেন চালু হলেও উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ট্রান্সফার, আইপিও, ব্রোকারেজ হাউজগুলো মনিটরিং ও কমপ্লায়েন্স, লাইসেন্স নবায়ন ইত্যাদি কাজ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। যাতে এগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়েছে। এমন নানা বিষয়ে অব্যাহতি চেয়ে ৯ পৃষ্টার একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সীমাবদ্ধতার কারনে লেনদেন চালুর বিষয়ে এখনো ট্রেকহোল্ডারদের লিখিত মতামত নিতে পারেনি ডিএসই। তবে তাদের সম্মতি নিয়েই লেনদেন চালু করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। অন্যথায় লেনদেন চালু করা হবে না।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, কমিশনের সম্মতির পরে লেনদেন চালু করতে ৩দিন সময় দিতে হবে। কারন ডিএসইরও লেনদেন চালু করার জন্য প্রস্তুতির বিষয় আছে।
এদিকে ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম স্বল্পতার কারনে পুঁজিবাজারে ২ ঘন্টার বেশি লেনদেন করা সম্ভব হবে না বলে কমিশনকে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, লেনদেন চালু হলেও এই মুহুর্তে সব সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। কমিশনকে নানা বিষয়ে লিখিত কাগজের মাধ্যমে জানানো হয়। যা এখন সম্ভব হবে না। মেইলে পাঠানো হবে। এছাড়া সব নিউজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। কারন অনেক নিউজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে কিছু বিষয় জেনে প্রকাশ করা দরকার পড়ে। কিন্তু ওই কোম্পানি বন্ধ থাকলে, জবাব কে দেবে। যাতে নিউজ সরবরাহ করা যাবে না।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল লেনদেন চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। ওইদিন অনলাইনে আয়োজিত এক অনানুষ্ঠানিক পরিচালনা পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে শেয়ারবাজারও বন্ধ রয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আতিক