1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
১০ মে খুলছে বাটা ও এপেক্স, স্বাস্থ্যবিধি মানার নিশ্চয়তা
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ এএম

১০ মে খুলছে বাটা ও এপেক্স, স্বাস্থ্যবিধি মানার নিশ্চয়তা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে না বাড়ে সেজন্য ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক। বায়তুল মোকাররমসহ বেশ কিছু মার্কেটও বন্ধ থাকছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার নিশ্চিয়তা দিয়ে ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ফুটওয়ার ও বাটা সু কোম্পানি লিমিটেড।

এ প্রসঙ্গে বাটা কোম্পানির ম্যানেজার জোবায়ের ইসলাম বলেন, যেসব স্টোর খোলা থাকবে, সেগুলোতে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। এ জন্য আমরা পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছি। ক্রেতারা জীবানুমুক্ত হয়ে স্টোরে আসার অনুমতি পাবেন। এছাড়া ক্রেতারা যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেহেতু সরকার আগামী ১০ মে থেকে দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সে কারণে আমরা সেই সুযোগ নেবো। তবে শপিং মল বন্ধ থাকায় অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে কিছু স্টোর বন্ধ থাকতে পারে। সারা দেশে বাটা’র ২৬৪ স্টোর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সব কর্মচারী, ভোক্তা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সুরক্ষা ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি।

এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়ারও সীমিত আকারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এপেক্সের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জোহেব ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে ৯০ থেকে ১০০টির মতো আউটলেট খোলা থাকবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন দেওয়া আছে, তার পুরোটাই মেনে খোলা হবে। হ্যান্ড স্যানেটাইজার থাকবে ক্রেতাদের জন্য ও বিক্রয়কর্মীদের জন্য থাকবে হ্যান্ড গ্লাভস। ক্রেতাদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। একজন ক্রেতা সরে না যাওয়া পর্যন্ত আরেকজন ক্রেতা দূরে অবস্থান করবেন। প্রয়োজনে ক্রেতারা বাইরে থাকবেন।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে যারা মার্কেট বা দোকান খোলা রাখতে পারবেন, তারা খোলা রাখবেন। যারা পারবেন না, তারা বন্ধ রাখলেও সমস্যা নেই। তিনি উল্লেখ করেন, যেসব মালিক দোকান বন্ধ রাখবেন তারা তাদের কর্মচারীদেরকে যেটুকু পারবেন বেতন দিয়ে দেবেন।

এর আগে গত সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আগামী ১০ মে থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা যাবে। তবে তা বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারাদেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শপিংমলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। সেই ছুটির মেয়াদ পর্যায়ক্রমে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

শেয়ারবার্তা / মিলন

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ