করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে আগামী ১৬ই মে পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে স্যাটলমেন্টসহ সব অফিসিয়াল কার্যক্রম। বুধবার (এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাধারণ ছুটিতেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ১০ই মে লেনদেন চালুর জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে অনুমতি চেয়ে বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদি অনুমোদন পাওয়া যায় তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জের ছুটি বাতিল করা হবে। চালু করা হবে লেনদেন, স্যাটলমেন্টসহ সব কার্যক্রম।
করোনার কারণে গত ২৭শে মে থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ওই ছুটির সাথে মিল রেখে ছুটিতে আছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ। আর এ কারণে সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই বন্ধ আছে পুঁজিবাজারের লেনদেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই লেনদেন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ম্যানেজমেন্ট গত ৩রা এপ্রিল লেনদেন শুরুর অনুমতি চেয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএসইসির অনুমতি সাপেক্ষে বাজারে লেনদেন শুরু করার জন্য প্রস্তুত তারা। চিঠিতে লেনদেন চালুর জন্য কয়েকটি বিষয়ে আইনের অব্যাহতিও চাওয়া হয়েছে।
সোমবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, কমিশন ডিএসইর চিঠি পর্যালোচনা করে দেখছে। প্রয়োজন মনে করলে বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএসইসি সাধারণ ছুটিতে লেনদেন শুরু না করার অবস্থানে ছিল। কারণ একে তো সরকার পুঁজিবাজারকে সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে রাখেনি, তার উপর ডিএসই কিছুই আইনী শর্তের অব্যাহতি চেয়েছে, যেগুলো কমিশন বৈঠক ছাড়া দেয়া অসম্ভব।
তবে স্টক এক্সচেঞ্জ ছাড়াও কিছু ব্রোকারহাউজের পক্ষ থেকে বিএসইসিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে, বিশেষ বিবেচনায় লেনদেন চালুর সুযোগ দেয়ার জন্য। কারণ লেনদেন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো আয় নেই। অথচ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা এবং অফিস ভাড়াসহ নানা ধরনের ব্যয় রয়েছে। লেনদেন বন্ধ থাকায় তথা আয় না থাকার কারণে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এপ্রিল মাসের বেতন দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিএসইসি নতুনভাবে পর্যালোচনা শুরু করেছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস