প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাবের করা মামলায় বুধবার (৬ মে) রাতে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসই সূত্র।
মিনহাজ মান্নান ইমন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য প্রতিষ্ঠান (ব্রোকার) বিএলআই সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির খালাতো ভাই।
ইমনের ভাই ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানকে ২০১৬ সালে ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকার নিজ বাড়িতে জঙ্গিরা হত্যা করেছিল। জুলহাজ মান্নান সমকামী অধিকার বিষয়ক প্রথম পত্রিকা রূপবানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক ছিলেন।
সূত্র জানায়, র্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের করা এই মামলায় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট কিশোর ও মুশতাককে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার কিশোর ও মুশতাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- দিদারুল ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান ইমন, আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৩।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ,করোনাভাইরাস মহামারি সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেসবুকে ‘I am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল বলে র্যাবের দাবি।
হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের ‘ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ’ পাওয়ার দাবিও করেছে র্যাব।
দিদারুল ও মিনহাজ ফেসবুকে মুশতাকের ‘ফ্রেন্ড’ উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে,’তাদের সাথে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
তবে মিনহাজ মান্নান ইমন বা অন্য আসামিরা প্রকৃত পক্ষে ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, চ্যাটিংয়ে ষড়যন্ত্রমূলক কি কি লিখেছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি।
শেয়ারবার্তা / আনিস