পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেডের কর্মচারীদের ১০ মাসের বকেয়া পাওনা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বকেয়া পাওনা আদায়ের জন্য কর্পোরেট কর্মচারিরা পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে চিঠি দিয়েছে।
কারখানাটির কর্মচারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে কারখানাটিতে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। পাওনা বেতনের কথা বলা হলেই নানা অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন কমিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়ও শ্রম আইন না মেনে কারখানাটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মার্চেন্ডাইজার ও এক্সিকিউটিভ জানান, কারখানাটিতে তাদের ১০ মাসের বকেয়া পাওনা রয়েছে। মালিকপক্ষ বেতন দিতে নানা টালবাহানা করছে। মালিক পক্ষ প্রথমে অর্ধেক বেতন না চাওয়ার শর্তে বাকি অর্ধেক বেতন দিতে চেয়ছিল। ওই অর্ধেক বেতনও আবার কয়েক কিস্তিতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে কর্মচারিরা মালিকপক্ষের এই প্রস্তাব মেনে নেননি।
কারখানার কর্মচারিরা ১০ মাসের বকেয়া বেতন প্রসঙ্গে গত ২৩ এপ্রিল বিজিএমএইএ সভাপতির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠির বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই কারখানাটিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। তবে স্টাফদের বেতন বকেয়া রয়েছে।
বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের রমনা-তেজগাঁও জোনের ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন বলেন, ‘সম্প্রতি আমি এই এলাকার দায়িত্ব পেয়েছি। আসার পরেই দেখতে পেয়েছি ড্রাগন সোয়েটারে বেতন নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। মালিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। পরে শ্রমিকদের বেতন দিয়ে দিয়েছে। এখন শুনতে পাচ্ছি কর্পোরেট লেভেলের কর্মীদেরও বেতন বাকি আছে। যোগাযোগের পর কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এই বেতনও দিয়ে দেবে, যা প্রক্রিয়ায় আছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস