পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইফাদ অটোজের রাইট শেয়ারের মাধ্যমে সংগৃহিত অর্থ ব্যবহারে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও ২১ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। কোম্পানির রাইট ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহিত অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কোম্পানিটির পক্ষে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর ১২৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়। যা ব্যবহারের জন্য ২ বছর বা ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও ২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৬ টাকা বা ২১.৩০ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। এরমধ্যে রাইটের অর্থ ব্যাংকে জমার কারনে সুদজনিত ৬ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৫৯২ টাকা আয় রয়েছে।
ইফাদ অটোজ সিভিল অ্যান্ড স্টিল ওয়ার্কস, মেশিনারীজ ক্রয়, জমি ক্রয় ও উন্নয়ন, চলতি মূলধন, ঋণ পরিশোধ এবং রাইট শেয়ার ইস্যু সংক্রান্ত ব্যয় পরিচালনার জন্য রাইটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও সিভিল অ্যান্ড স্টিল ওয়ার্কস, জমি ক্রয় ও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার অসম্পন্ন রয়েছে।
কোম্পানিটির সিভিল অ্যান্ড স্টিল ওয়ার্কস এর অ্যাসেম্বিলিং বর্ধিতকরন কর্মসূচির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ১ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ৫২৬ টাকা বা ১০.৯৪ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। এছাড়া জমি ক্রয় ও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ১৮ কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার ৬৮১ টাকা বা ৫৩.৮৯ শতাংশ এবং রাইট ইস্যুর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ৪ হাজার ৬৯৭ টাকা বা ০.০৩ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে।
উল্লেখ্য ইফাদ অটোজ ৫টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ২টি রাইট শেয়ার ইস্যু করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২০ টাকা মূল্যে ইস্যু করা হয়। আর এই শেয়ার ইস্যুর লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল