চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এক হাজার ৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের। আলোচ্য প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের মোট রাজস্ব এসেছে ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
প্রথম প্রান্তিক শেষে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ, যার মধ্যে ৫৩ দশমকি ৬ শতাংশ অর্থাৎ ৪ কোটি ৪ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রথম প্রান্তিকে ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
বুধবার অপারেটরটি প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমরা ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। মার্চ পর্যন্ত এনওসি অনুমোদনের উপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিনিষেধ থাকায় আমরা পরিকল্পিত বিনিয়াগ করতে পারিনি।
“প্রথম প্রান্তিকের শুরু থেকে আমাদের নম্বর সংকট দেখা দিয়েছিল যেটি মোট গ্রাহকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় প্রথম প্রান্তিকের শেষে ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ।”
ইয়াসির আজমান বলেন, “বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের পার্টনার, আইন শৃংখলা বাহিনী, প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমরা গ্রাহক সেবায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে এই কঠিন সময়ে আমরা সামাজিকভাবে আমাদের অবদান নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
“সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত হয়ে আমরা আমাদের প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি এবং একই সাথে ডেটা এনালাইসিসি ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিরূপনে ম্যাপিংয়ে সহায়তা করছি।”
ইয়াসির আজমান জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সামনের কাতারের কর্মীদের জন্য ৫০ হাজার মেডিকেল গ্রেড প্রফেশনাল পিপিই এবং পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এনওসির অনুমোদন পাওয়া শুরু করেছি। আমরা আশা করি, সামনের দিনগুলো আমাদের গ্রাহক সেবার মান আরও উন্নত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
গ্রামীণফোন জানায়, প্রথম প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই সময়ে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের পাশাপাশি ১৯৭টি নতুন ফোর-জি সাইট করা হয়েছে। মার্চ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৪২টি। ভ্যাট, ফোর-জি লাইসেন্স ফি, স্পেকটার্ম অ্যাসাইনমেন্ট ফি, ডিউটি ও ফিস বাবদ প্রথম প্রান্তিকে সরকারি কোষাগারে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট আয়ের ৬৮ শতাংশ।
শেয়ারবার্তা / আনিস