1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
প্রণোদনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বস্ত্র খাত
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ এএম

প্রণোদনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বস্ত্র খাত

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানিকারকদের জন্য ঋণসুবিধা হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করলেও বস্ত্র খাত এই সুবিধা পাচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের এসএমই খাতের জন্য বরাদ্দকৃত ২০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ থেকে তহবিল নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারের রপ্তানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, বস্ত্র খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানই রপ্তানিকারক হিসেবে স্বীকৃত। ফলে তারা রপ্তানিকারকদের জন্য ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকা থেকেই প্রণোদনার সুবিধা প্রাপ্য।

অন্যদিকে, বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের জন্য ঘোষিত তহবিল থেকেও তারা প্রাপ্য হবেন না। কেননা, বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো অপেক্ষাকৃত বড়ো বিনিয়োগের হওয়ায় তারা এসএমই ঋণের আওতায় পড়বেন না। তারা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী বস্ত্র খাত কার্যত সরকারের প্রণোদনা-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিটিএমএ ইস্যুটি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে রপ্তানি নীতি আদেশের বিদ্যমান ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলা হয়, নতুন প্রজ্ঞাপনটি রপ্তানি নীতি আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর ফলে এ খাতের উদ্যোক্তাদের পক্ষে প্রণোদনার সুবিধা নেওয়ায় জটিলতা তৈরি হবে। আদেশটি তৈরি করার সময় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করায় হতাশা প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে করোনা ভাইরাসের কারণে গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়া, রপ্তানির অর্থ না আসাসহ বেশ কিছু সমম্যা তুলে ধরে এ খাতের উদ্যোক্তাদের তারল্য সংকটের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

বিটিএমএর সাবেক চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। অথচ মন্ত্রণালয় উলটা-পালটা করে ফেলেছে। এসএমইর ঋণ কোথায় কী হারে বণ্টন হবে, তা ইতিমধ্যেই বলা আছে। বৃহত্ শিল্প হিসেবে সেখান থেকে তো বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার সুযোগ নেই। বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি স্থানীয় সরবরাহকারীরা বৈশাখ ও ঈদকেন্দ্রিক বাজারও পাচ্ছে না। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বস্ত্র খাত বিপদে পড়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ারবার্তা / হামিদ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ