1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
করোনায় সাড়ে ৫’শ কোটি টাকা হারিয়েছে সিমেন্ট খাত
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম

করোনায় সাড়ে ৫’শ কোটি টাকা হারিয়েছে সিমেন্ট খাত

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সর্বশেষ ১২ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের ৬ কোম্পানি হারিয়েছে সাড়ে ৫’শ কোটি টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কোম্পানিগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে ৭টি কোম্পানি রয়েছে। দেশে করোনা ভাইরাস ধরা পরে গত ৮ মার্চ। এরপর করোনা প্রতিরোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। যা ২৬ মার্চ থেকে চলতে থাকে। অর্থাৎ ৮ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১২ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়। এই সময়ে পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে ৬টির শেয়ার দর কমেছে। আর একটির শেয়ার দর বেড়েছে।

শেয়ার দর কমার কারণ ৬টি কোম্পানির পুঁজিহোল্ডাররা এ সময়ে ৫৬২ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ১৭২ টাকা হারিয়েছে। আর একটি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার কারণে পুঁজিহোল্ডাররা ২৫ কোটি টাকার বেশি ফিরে পেয়েছে।

শেয়ার দর কমার কারণে এ সময়ে সবচেয়ে বেশি টাকা হারিয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ারহোল্ডাররা। লাফার্জহোলসিমের শেয়ার দর ৮ মার্চ ছিল ৪০.১০ টাকা করে। আর ২৫ মার্চ লেনদেন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৩৭ টাকায়। অর্থাৎ এ সময়ে প্রতিটি শেয়ারের দর ৩.১০ টাকা করে কমেছে। পুঁজিবাজারে এই কোম্পানির ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। সে হিসেবে এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা ৩৬০ কোটি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫০ টাকা হারিয়েছে।

এ সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাকা হারিয়েছে হাইডেলবার্গ সিমন্টের শেয়ারহোল্ডাররা। পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৫৯০টি শেয়ার রয়েছে। গত ৮ মার্চ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর ছিল ১৫৬.৭০ টাকা। আর ২৫ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়ায় ১৪০ টাকায়। অর্থাৎ এ সময়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারে ১৬.৭০ টাকা হিসেবে মোট ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৯৫৩ টাকা হারিয়েছে।

অর্থ হারানোয় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট। পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির ৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯ হাজার ২৬৯টি শেয়ার রয়েছে। শেষ ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিটি শেয়ারে ৭.৪০ টাকা করে মোট ৫৫ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৯০ টাকা হারিয়েছে। ৮ মার্চ কনফিডেন্স সিমেন্টের প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১০৪.৪০ টাকা করে। আর ২৫ মার্চ লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৯৭ টাকায়।

এমআই সিমেন্টের প্রতিটি শেয়ারের দর ৮ মার্চ ছিল ৪৫.৮০ টাকা করে। ২৫ মার্চ লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৪৩.৮০ টাকায়। ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ২ টাকা করে দর হারিয়েছে। আর পুঁজিবাজারে এই কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪ কোটি ৮৫ লাখ। এই হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা এ সময়ে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা হারিয়েছে।

পুঁজিবাজারে মেঘনা সিমেন্টের শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৫৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬২টি। ৮ মার্চ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৮০.৬০ টাকা করে। ২৫ মার্চ লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৭২.৭০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারে ৭.৯০ টাকা করে কমেছে। এহিসেবে শেয়ারহোল্ডাররা ২০ কোটি ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৯ টাকা হারিয়েছে।

এই সময়ে আরামিট সিমেন্টের পুঁজিহোল্ডাররা শেয়ারপ্রতি ০.৮০ টাকা করে মোট ২ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার টাকা হারিয়েছে। পুঁজিবাজারে আরামিট সিমেন্টের ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। গত ৮ মার্চ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১২.৯০ টাকা করে। আর ২৫ মার্চ প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১২.১০ টাকা করে। সেহিসেবে এই পরিমাণ অর্থ হারিয়েছে শেয়ারহোল্ডাররা।

সিমেন্ট খাতের ৬ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডররা বিপুল পরিমাণ অর্থ হারালেও প্রিমিয়ার সিমেন্টের শেয়ারহোল্ডাররা ২৫ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফিরে পেয়েছে। গত ৮ মার্চ এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৬১.১০ টাকায়। আর ২৫ মার্চ প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৬৩.৫০ টাকায়। অর্থাৎ এ সময়ে শেয়ার প্রতি ২.৪০ টাকা করে বেড়েছে। এর মাধ্যমে উক্ত পরিমাণ অর্থ ফিরে পায় শেয়ারহোল্ডাররা।

শেয়ারবার্তা/সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ