করোনাভাইরাস মহামারীতে অর্থনীতিতে স্থবিরতার মধ্যে লে-অফ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। ১২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই লে-অফ চলবে বলে কোম্পানিটি শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রম আইনের ভাষায়, লে-অফ হল কোনো কারখানায় কাঁচামালের স্বল্পতা, মাল জমে যাওয়া কিংবা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় শ্রমিককে কাজ দিতে না পারার অক্ষমতা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে ১২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানির সব কর্মীকে মার্চ মাসের বেতন এবং ২০১৯ সালের জন্য বিশেষ বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়া সব কর্মীকে এপ্রিল মাসের পুরো বেতন পরিশোধের আশ্বাসও দিয়েছে লাফার্জহোলসিম।
শ্রম আইন অনুযায়ী, লে-অফ চলাকালে প্রথম ৪৫ দিনের ক্ষেত্রে পূর্ণকালীন শ্রমিকের মোট মূল মজুরি, মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক দিতে হয় মালিককে। পরের ১৫ দিনের জন্য শ্রমিক পাবে পাবে ২৫ শতাংশ মূল বেতন এবং বাড়ি ভাড়া।
“কিন্তু লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ১২ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২০ এই ১৮ দিনের কোনো বেতন কর্তন করছে না। যার যা বেতন সেসবই দেওয়া হবে।”
এই লে-অফ সাময়িক জানালেও ৩০ এপ্রিলের পর তা বাড়বে কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কোম্পানিটি।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশে সিমেন্ট উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। এর কর্মী সংখ্যা ৩ হাজারের মতো।
শেয়ারবার্তা / আনিস