করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিমুখে পড়েছে। একই অবস্থায় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরাও। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এখন নানামুখে উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন ডিএসই পরিচালক রকিবুর রহমান।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, আগে থেকেই পুঁজিবাজারের অবস্থা ভালো ছিলো না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রভাবে। অনেকটা বাদ্ধ হয়ে বাজারের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছেন যারা পুঁজিবাজারের আয় দিয়েই তাদের পরিবার চালান।
রকিবুর রহমান পুঁজিবাজারের এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আসন্ন বেনিফিশিয়ারি ওনার্স হিসাব নবায়নের ফি মওকুফ করার জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে দাবি করেন। একই সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে বিও নবায়নের ক্ষেত্রে তাদের ফি মওকুফ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, দূর্দশাগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদেরকে কিছুটা রক্ষা করার জন্য হলেও এ বছর নবায়ন ফি মওকুফ করা উচিত। একইসঙ্গে যেসব হাউজ থেকে সিডিবিএলের থেকে বেশি নবায়ন ফি চার্জ করা হয়, সেসব হাউজকেও এ বছর নবায়ন ফি মওকুফ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার অন্যান্য খাতে বিভিন্ন প্যাকের প্রণোদনা ঘোষণা করেলেও পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন কিছু রাখা হয়নি। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, সরকার যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা বাস্তাবায়িত হলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শেয়ারবার্তা / আনিস