করোনাভাইরাসের ক্ষতি মোকাবিকলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা কার্যকর হলে পুঁজিবাজারেও তার ইতিবাচক প্রভাব পরবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে সিএসইর পক্ষ থেক প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এই সময়োপযুগী প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রদান করায় তাকে আন্তরিক সাধুবাদ এবং ধন্যবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ০৫ এপ্রিল জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এবং সমগ্র স্ট্যাকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এই প্যাকেজটি যথেষ্ট সময়োপযুগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।
স্যেশাল সেফটিনিটির আওতায় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে টাকা পৌঁছানো এবং ১০ টাকা কেজি মূল্যে চালের বন্দোবস্ত করার ঘোষণাকে আমরা মনে করি যথেষ্ট বাস্তবসম্মত এবং সময়ের দাবিদার একটি পদক্ষেপ। কেননা, এই মহাদুর্যোগের সময় এই হতদরিদ্র মানুষগুলোর দৈনন্দিন কর্ম ব্যাহত হচ্ছে এবং হবে।
এছাড়াও আমরা মনে করি যে, সম্প্রসারণকারী মুদ্রানীতির যে ঘোষণা এই প্রণোদনা (স্টিমুল্যাস) প্যাকেজে আছে তাতে করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এজন্য আভ্যন্তরীণ চাহিদা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন,যেন মানুষের পারচেসিং(ক্রয়ক্ষমতা) পাওয়ার আরো বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল হয়।
বিবৃতিতে বৃহৎ শিল্পের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা ৪.৫০% হারে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৪% হারে একটি প্রোগাম হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যথেষ্ট লাভবান হবে বাকি ৯% হারে ইন্টারেস্ট বার্ডেন সরকার শেয়ার করবে। তাই বলা যায় ব্যাংকের জন্য একটি যথেষ্ট ভালো সুযোগ হবে বলে আমরা আশা করি। ইডিএফ ৩.৫ বিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি করে ০৫ বিলিয়ন করা হয়েছে যাতে রপ্তানিকারকরা কিছু সুবিধা পাবেন এবং পূর্ব জাহাজীকরণের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার ৭% হারে একটি স্কিম রয়েছে যা একটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।
সামগ্রিকভাবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ নেওয়া হয়েছে সেটা সত্যিই আশানব্যঞ্জক উদ্যোগ। আমরা মনে করি এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই মুহূর্তে ঋণগুলো দেওয়া প্রয়োজন। ক্ষুদ্র, মাঝারী এবং বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে তাদের কর্মচারীদের বেতন প্রদান এবং চলতি মূলধনের জন্য এই ঋণ দ্রুত গতিতে তাদের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। হতে পারে এই উদ্দেশ্যে সরকারী ও বেসরকারী জনবল সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল