করোনাভাইরাস ইস্যুতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে কবে শুরু হবে তা এখনই নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না।
কোম্পানিটির আইপিওতে আগামী ১৩ এপ্রিল আবেদন গ্রহণ শুরু করার জন্য নির্ধারন করা হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাস ইস্যুতে দেশের শেয়ারবাজার এরইমধ্যে দুই দফায় বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যা আরও বাড়বে না, এখনই এমনটি বলা যাচ্ছে না। আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ারবাজার বন্ধ থাকার কারনে আগামি ১৩ এপ্রিল আবেদন গ্রহণ শুরু করা সম্ভব হবে না।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের সচিব লিয়াকত আলী খান বলেন, আইপিওতে আবেদন কার্যক্রম করা হয় ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে। যেসব প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে ১৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে স্বাভাবিকভাবেই ১৩ এপ্রিল এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, সরকারি অফিস খোলার পরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে আবেদনের বিষয়ে আলোচনা করব। কমিশন এ বিষয়ে যে পরামর্শ দেবে, তার আলোকেই পরবর্তীতে কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে আইপিওতে আবেদন পেছাতে পারে, প্রয়োজনে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে স্থগিত হতে পারে।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।
উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে অংশগ্রহনে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ইএসএস শুরুর পূর্বের ৫ম কার্যদিবস শেষে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল