অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতটিতে ২০০৯-১০ সালে বিনিয়োগকারীদেরকে ব্যাপক ক্ষতির কবলে পড়তে হয়। যার পরিমাণ এতই বেশি হয় যে, বিনিয়োগকারীরা এই খাত থেকে নিজেদেরকে সড়িয়ে নেন। এরপরে ৯ বছর পার হয়ে গেলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে এখনো বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে না আসায় ইউনিট দর তলানিতে। এরমধ্যে আবার হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। যাতে এ খাতের ৯৫ শতাংশ কোম্পানির ইউনিট দর এখন অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার প্রধান কারন ২০০৯-১০ সালে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। এছাড়া এই খাতটিতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। যে কারনে এই খাতটি পুঁজিবাজারে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। না হলে এই খাতটি অন্যসব দেশের ন্যায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত। তবে সম্প্রতি অন্যসব খাতের ন্যায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও অনাকাঙ্খিতভাবে করোনাভাইরাস নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৫টি বা ৯৫ শতাংশের দর এখন অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। এরমধ্যে ১০টি ফান্ডের দর ৫ টাকার নিচে রয়েছে। আর অভিহিত মূল্যের উপরে থাকা ফান্ড ২টি ১২ টাকার মধ্যে রয়েছে। ফান্ডগুলোর দর এতো সস্তা হলেও বিনিয়োগকারীরা তাতে আগ্রহী না।
তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ইউনিট সবচেয়ে কম দরে অবস্থান করছে। রবিবার (৫ এপ্রিল) ফান্ডটির ইউনিট দর ৩ টাকা ৩০ পয়সায় দাড়িঁয়েছে। এরপরে ৪ টাকা ১০ পয়সা নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আর তৃতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর রয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সায়।
অপরদিকে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ইউনিটটির দর রয়েছে ১২ টাকায়। অভিহিত মূল্যের উপরে থাকা বাকি গ্রামীণ ওয়ান : স্কিম টু’র ইউনিট দর রয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সায়।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল