1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ডেল্টা হসপিটালের নিলামে ১৮ টাকা দর যোগ্য
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ এএম

ডেল্টা হসপিটালের নিলামে ১৮ টাকা দর যোগ্য

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮
Delta-Hospital

পুঁজিবাজার থেকে প্রতিটি শেয়ার ১৮ টাকা দরে ইস্যু করার যোগ্যতা রয়েছে ডেল্টা হসপিটালের। ‘আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিতে কোম্পানিটির এই যোগ্যতা আসে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুক বিল্ডিং পদ্ধতি চালুর আগে সব কোম্পানিকেই এই যোগ্যতার চেয়ে কম দরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে। তবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কিছু কোম্পানি অনৈতিক উপায়ে যোগ্যতার চেয়েও কাট-অব প্রাইস অতিমূল্যায়িত করতে সক্ষম হয়েছে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য ডেল্টা হসপিটালের বিডিং শুরু হয় গত ২২ মার্চ বিকেল ৫টায়। যা চলে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংকের লেনদেনের জটিলতার কারণে কাট অব প্রাইস প্রকাশ করা হয়নি। কোম্পানিটি এ পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা দিয়ে যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করা হবে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ২০১৬ সালের শুরু থেকে চালু করা হলেও এরই মধ্যে তার অপব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে এরই মধ্যে কোম্পানিগুলো ও যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। এ পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে চাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর যোগ্যতার তুলনায় বেশি করার জন্য এই কারসাজি করছে এবং এক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন কারসাজিকারীরা।

২০১৬ সালে চালু হওয়ার পরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৭টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারে যোগ্য নামের অযোগ্য বিনিয়োগকারীরা গড়ে ৫৬.২৮ টাকা কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করে। তবে কোম্পানিগুলোর বর্তমানে গড় বাজার দর নেমে এসেছে ৩৬.৩০ টাকায়। যা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মূল্যায়িত দরের তুলনায় ১৯.৯৮ টাকা বা ৩৫.৫০ শতাংশ কম। এছাড়া বুক বিল্ডিংয়ে সর্বশেষ তালিকাভুক্ত হওয়া এডিএন টেলিকম ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলোর দর কাট-অফ প্রাইসের নিচে চলে এসেছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর জন্য বুক বিল্ডিং সিস্টেমস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির অপব্যবহার হচ্ছে। আর এই অপব্যবহার রোধে বিএসইসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে যোগ করেন। প্রয়োজনে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি স্থগিত বা বন্ধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত এক সেমিনার ও ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ এর উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যে কোন কোম্পানির শেয়ার দর বিবেচনায় ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে কোম্পানির শেষ ৫ বছরের ওয়েটেড শেয়ার প্রতি মুনাফাকে (ইপিএস) মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১০ দিয়ে গুণ করা হয়। এরপরে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) যোগ করার পরে ২ দিয়ে ভাগ করে এই দর নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে ডেল্টা হসপিটালের শেয়ার দর হয় ১৮ টাকা। ডেল্টা হসপিটালের রেড হেরিং প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, কোম্পানিটির গত ৫ বছরের ওয়েটেড ইপিএস ১.৯১ টাকা। আর এনএভিপিএস রয়েছে মাত্র (পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া) ১৬.৬২ টাকা। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিতে শেয়ার দর মূল্যায়ন হয় ১৭.৮৬ টাকা। যা পুনঃমূল্যায়নসহ ৪৫.৮৪ টাকার এনএভিপিএসের ক্ষেত্রে হয় ৩২.৪৭ টাকা।

এ বিষয়ে ডেল্টা হসপিটালের সচিব আল মামুন (এসিএস) বলেন, কাট-অফ প্রাইস কত হবে, সেটা কোম্পানি বা ইস্যু ম্যানেজার বলতে পারবে না। তবে আমরা একটা যৌক্তিক দর প্রত্যাশা করছি। আশা করছি যোগ্য বিনিয়োগকারীরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সঠিক দর নির্ধারণ করবেন। তিনি বলেন, ডেল্টা হসপিটালের জমি অনেক আগে কেনা। যা ২০১০ সালে পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই জমির দাম অনেক বেশি। তাই দর প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ক্রয় মূল্য না, বর্তমান বাজার মূল্য বিবেচনায় নেয়া যৌক্তিক হবে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আগে ইস্যু ম্যানেজাররা ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে কোম্পানির শেয়ার ইস্যু করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করতেন। এবং এর আলোকে কমিশন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিত। যদিও এখন প্রিমিয়ামে আসতে হলে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসতে হয়। সেক্ষেত্রে দর নির্ধারণে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা মূল ভূমিকা রাখেন। তবে এখনো কোম্পানিগুলোকে ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিতে দর গণনা করে দেখাতে হয়।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতি চালুর আগে সব কোম্পানিকেই ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতির যোগ্যতার চেয়ে কম দরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। দেখা গেছে, ২০১৫ সালে ৮টি কোম্পানি প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যু করে। তবে সব কয়টি কোম্পানি ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিতে নির্ধারিত দরের চেয়ে কম দরে শেয়ার ইস্যু করেছে।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ